মাফি মহিউদ্দিন , কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)প্রতিনিধিঃ  নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার রুপালী ব্যাংক শাখার ম্যানেজার দৌলতুজ্জামান  ও প্রিন্সিপাল অফিসার দিলীপ চন্দ্র পোদ্দারের বিরুদ্ধে গ্রাহক হয়রানী ও ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শাখাটির এসএমই (ব্যাবসায়ীক) ঋণ গ্রহিতারা  ওই দুই কর্মকতার্র বিরুদ্ধে রপালী ব্যাংকের রংপুর জোনাল অফিসার, নীলফামারী ৪ আসনের সংসদ সদস্য এবং রুপালী ব্যাংকের পরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। 
লিখিত অভিযোগ সূত্রে ও সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, রপালী ব্যাংক শাখার ম্যানেজার ও প্রিন্সিপাল অফিসার কিশোরগঞ্জ শাখায় যোগদানের পর শাখাটির পূর্বের  ঋণ গ্রহিতাদের নতুন করে বেশি ঋণ দেওয়ার প্রলোভন দিয়ে পূর্বের ঋণ পরিশোধ করতে বলেন, ঋণ গ্রহিতাগণ ব্যাংক ম্যানেজার ও প্রিন্সিপাল অফিসারের কথায় ব্যাবসার মূলধন হতে এবং অনেকেই জমিজমা বিক্রি করে পূর্বের ঋণ পরিশোধ  করে নতুন ঋণ গ্রহনের জন্য আবেদন করেন। কিন্তু ব্যাংটির ম্যানেজার ও প্রিন্সিপাল অফিসার গ্রাহকদের আবেদনের বিভিন্ন ত্রুটি ধরে ব্যাবসায়ীদের কাছে মোটা অংকের  উৎকোচ দাবি করেন। 
রুপালী ব্যাংক শাখার গ্রাহক এবং মেসার্স মণি ভুষণ ট্রেডার্সের মালিক  মণি ভুষণ রায় জানান, আমি গত ২৬-৮-২০১৫ সালে রুপালি ব্যাংক শাখা থেকে ৪ লাখ  ৫০ হাজার টাকা ঋন উত্তোলন করি এবং নিয়মিতভাবে তা পরিশোধ করে আসছিলাম। পরবতর্ীতে ব্যাংটির প্রিন্সিপাল অফিসার আমাকে ব্যাংকে ডেকে নতুন করে বেশি ঋণ দেওয়ার কথা ২০১৯ সালের মে মাসে পূর্বের ঋণ পরিশোধ করিয়ে নেন। পরবতর্ীতে প্রিন্সিপাল অফিসার দীলিপ চন্দ্র পোদ্দার আমার কাছে ৩০ হাজার টাকা ঘুষ দাবী করে। আমি তাঁকে চার হাজার টাকা দেই বাকি টাকা দিতে না পারলে তিনি প্রয়োজনীয় কাগজ পত্রের ত্রুটি ধরে । সর্বশেষ ব্যাংটির ১৩ জন ষ্টাপ আমার বাড়িতে ভুরিভোজ করে আমার ২০ হাজার টাকার ক্ষতি করে। এবং প্রিন্সিপাল অফিসার দীলিপ চন্দ্র পোদ্দার আমার কাছ থেকে দুই প্যাকেট গোল্ডলিপ সিগারেট কিনে নেন।  কিন্তু আমি মাসের পর মাস ব্যাংকে আসলেও ওই কর্মকতার্ আমাকে ঋণ দিচ্ছেনা। বর্তমানে আমি ব্যাবসায়ীকভাবে কঠিন সমস্যায় রয়েছি।   
 উপজেলা জাতীয় পার্টির সমন্বয়ক ও ব্যাবসায়ী  মজিদুল ইসলাম মিন্টু বলেন, ব্যাংটির প্রিন্সিপাল অফিসার দীলিপ চন্দ্র পোদ্দার আমাকেও নতুন করে ঋণ দেওয়ার কথা বলে পূর্বের ঋণ পরিশোধ করে নেন। তিনি দিনের পর দিন আমাকে নতুন করে ঋণ দেওয়ার কথা বলে হয়রানী করছেন। বিষয়টি আমি নিজে নীলফামারী ৪ আসনের সংসদ সদস্য এবং রুপালী ব্যাংকের জোনাল ম্যানেজারকে মোবাইলে এবং লিখিতভাবে  জানিয়েছি। 
ছায়েদ হোসেন ট্রেডার্সের মালিক  আমজাদ হোসেন , কবির ট্রেডার্সের মালিক কবির হোসেন , মেসার্স লালমিয়া ট্রেডার্সের মালিক লালমিয়া, হাসানুর রহমান, আনায়ারুল হকসহ অসংখ্যা গ্রাহক ব্যাংটির প্রিন্সিপাল অফিসার দীলিপ চন্দ্র পোদ্দারের বিরুদ্ধে ঘুষ দাবীসহ হয়রানীর অভিযোগ করেছেন।  
এ বিষয়ে রুপালী ব্যাংক শাখার ম্যানেজার দৌলতুজ্জামান এবং প্রিন্সিপাল অফিসার দীলিপ চন্দ্র পোদ্দার বলেন, যেহুতু ব্যবসায়ীরা জোনাল ম্যানেজার বরাবর লিখিতভাবে জানিয়েছে সেহুতু এ বিষয়ে কোন বক্তব্য দিতে পারবনা। 
এ ব্যাপারে রুপালী ব্যাংকের জোনাল ম্যানেজার শরিফুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি বলেন আমি বর্তমানে বাহিরে আছি এ বিষয়ে আপনার সাথে পরে কথা বলব। 
নীলফামারী ৪ আসনের সংসদ সদস্য আহসান আদেলুর রহমান আদেল অভিযোগের সত্যতা শিকার করে বলেন, আমি বিষয়টি নিয়ে রুপালী ব্যাংকের উদ্ধর্তন কর্তপক্ষকে অবহিত করেছি। 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে