মাফি মহিউদ্দিন কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ  নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের ৮ টি জনগুরুত্বপুর্ণ  দফতরের কর্মকর্তার পদ শুন্য থাকায় অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়ে চলছে কার্যক্রম। অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা কেউ কেউ সপ্তাহে একদিন থেকে দুইদিন আবার কেই মাসে একদিন অফিস করেন । ফলে এসব দপ্তরের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। এসব দফতরে সেবা নিতে এসে প্রতিনিয়ত চরম হয়রানীর শিকার হচ্ছেন ভুক্তভোগীরা। উপজেলা প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে, কিশোরগঞ্জ উপজেলার ১৭ টি সরকারী দফতরের মধ্যে কর্মরত রয়েছে মাত্র ৯ টিতে। বাকি ৮ টি পদ শুন্য রয়েছে। পদগুলোর মধ্যে কিশোরগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি ২০১৮ সালের জানুয়ারী মাসের ২ তারিখে নীলফামারী সদর উপজেলায় বদলী হয়ে যাওয়ার পর অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেন তৎকালিন উপজেলা নিবার্হী অফিসার এস এম মেহেদী হাসান ও বর্তমান উপজেলা নিবার্হী অফিসার আবুল কালাম আজাদ বর্তমানে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন সৈয়দপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি পরিমল কুমার সরকার।  উপজেলা সাবরেজিষ্টার অফিসার মোঃ তৌহিদুল ইসলাম গত ২০১৯ সালের ২৭ মে দিনাজপুর জেলার পাবতীপুরে বদলী হওয়ার পর এখানে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন নীলফামারী সদর উপজেলা সাবরেজিষ্টার অফিসার শাহ আলম। উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকতার্ মুহাম্মদ কায়সার আলী গত ২০১২ সালের ৬ জুন অন্যত্র বদলী হওয়ার পর ২০১২ সালের ৭ জুন থেকে  অদ্যবদি অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন নীলফামারী জেলা যুব উন্নয়ন অফিসের সহকারী পরিচালক আলী আর রেজা। উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকতার্  আল মিজানুর রহমান ২০১৮ সালের ৭ নভেম্বর অন্যত্র বদলি হওয়ার পর এখানে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন মোঃ আবু তাহের। উপজেলা হিসাব রক্ষন কর্মকতার্ আব্দুল খালেক কিশোরগঞ্জ উপজেলায় যোগদানের পাশাপাশি জলঢাকা উপজেলায় অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন। উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মনিমুন আক্তার গত ২০১৯ সালের ১৮ মার্চ  বদলী হওয়ার পরে এখানে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন নীলফামারী সদর উপজেলা সমাজসেবা অফিসার সাদিকুর রহমান মন্ডল। উপজেলা আনছার ভিডিপি কমান্ডার কল্পনা রানী   গত ৬/১২/১৫ থেকে ভারপ্রাপ্ত আনছার কমান্ডার হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। গত ২০১৮ সালের ১৫ জানয়ারী উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক খায়রুল আলম অবসরে যাওয়ার পর বর্তমানে সৈয়দপুর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সোহেল আহম্মেদ অতিরিক্ত হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা কমকতার্রা কেউ সপ্তাহে একদিন আবার কেউ মাসে একদিন থেকে দুইদিন করে অফিস করে দায় সেরে চলে যান। সব মিলিয়ে কিশোরগঞ্জ উপজেলার বেহাল অবস্থা। প্রায় সময় অফিসের জরুরী ফাইল সই করানোর জন্য এই সব অফিসের কর্মচারীদের অন্য উপজেলায় গিয়ে জরুরী ফাইল সই করে নিয়ে আসতে হয়। কিশোরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহ মোঃ আবুল কালাম বারী পাইলট বলেন, এসব জনগুরুত্বপুর্ণ পদে  দীর্ঘদিন থেকে কর্মকতার্ নিয়োগ না দেওয়ার কারনে এখানকার  মানুষ বিভিন্ন সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন উন্নয়ন থেকে পিছিয়ে পরছে কিশোরগঞ্জবাসী। তিনি আরো বলেন, আমি নিবার্চিত হওয়ার পর রংপুর বিভাগীয় কমিশনারের কাছে গিয়েছিলাম কিশোরগঞ্জ সহকারী কমিশনার পদে একজনকে নিয়োগ দেওয়ার জন্য তিনি সৈয়দপুর সহকারী কমিশনারকে অতিরিক্ত হিসাবে কিশোরগঞ্জের দায়িত্ব দিয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুল কালাম আজাদ বলেন, কিশোরগঞ্জ উপজেলার বেশ কয়েকটি দফতরে অতিরিক্ত কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করছেন। আমি কিশোরগঞ্জ উপজেলার উন্নয়ন পরিকল্পনা সুষ্ঠভাবে বাস্তবায়নের জন্য অতিরিক্ত বাদ দিয়ে নতুন করে কর্মকর্তার পদায়নের জন্য উর্দ্ধতন কর্তপক্ষের কাছে  জানিয়েছি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে