মোঃ কাওছার হামিদ, কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) থেকেঃ সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ইং এর শ্রমিক স্বার্থক পরিপন্থি ধারা বাতিল করার দাবীতে নীলফামারীর জেলা বাস মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়ন মাগুড়া উপ-কমিটি, কিশোরগঞ্জ, নীলফামারী বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় পাগলাপীর ডালিয়া সড়কে মাগুড়া বাসষ্ট্যান্ডে ১ঘন্টা ব্যাপি মানব বন্ধন পালন করেন।

উক্ত মানব বন্ধনে সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ এর কতিপয় ধারা সমূহের সংশোধন এবং ৮দফা দাবী আদায়ের জন্য হুঁশিয়ারী এবং বাতিলের দাবীতে শ্রমিকদের স্বার্থ সংরক্ষন এর উপর আলোকপাত করে বক্তব্য রাখেন নীলফামারী জেলা বাস মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়ন মাগুড়া উপ-কমিটির উপদেষ্টা মোঃ আনিছুর রহমান, অত্র উপকমিটির সভাপতি মোঃ কবির উদ্দিন, সাধারন সম্পাদক সংগ্রামী শ্রমিক নেতা সাইদুল হক, যুগ্ম-সম্পাদক ওয়াহেদুল হক, অবিলের বাজার উপকমিটির সভাপতি আমিনুর রহমান, চালক আনারুল হক, সড়ক সম্পাদক আহাদুল হক, আওয়ামীলীগ নেতা মোশাররফ হোসেন, ছাত্রলীগ নেতা কাজী মেজবাহুজ্জামান, চালক জিল্লুর রহমান, চালক আইনুল হক প্রমূখ। উক্ত মানব বন্ধনে কিশোরগঞ্জ উপজেলার কয়েক হাজার শ্রমিক স্বর্তফূত ভাবে মানব বন্ধনে অংশ নেয়। মানব বন্ধন চলাকালিন সময় পাগলাপীর ডালিয়া সড়কে দুই পাশে হাজার হাজার যান বহন আটকা পড়ে।

শ্রমিকরা শ্লোগান দিতে থাকে দুনিয়ার মজদুর এক হও এক হও সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ইং এর শ্রমিক স্বার্থক পরিপন্থি ধারা বাতিল কর করতে হবে। মানব বন্ধনে শ্রমিক নেতারা বলেন যতদিন এই আইনের সংশোধনী হবে না ততদিন শ্রমিকরা রাজপথে তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবে বলে মানব বন্ধন হুশিয়ারী দেন। শ্রমিক নেতা সাইদুল হক বলেন গত ১৯ শে সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদে সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ পাশ করা হয়েছে এ জন্য প্রধান মন্ত্রিকে অভিনন্দন জানাই। কিন্তু গভীর উদ্যোগের সঙ্গে বলতে হয় আপনারা জানেন সড়ক পরিবহন দেশের রক্ত প্রবাহের মতো। তাই ৭০লক্ষ পরিবহন শ্রমিক দিনরাত কাজ করে যাচ্ছে। পরিবহন শ্রমিকদের স্বীকৃতি না দিয়ে উল্টো তাদেরকে প্রতিপক্ষ ভেবে এ আইন পাশ করা হয়েছে।

৮দফা দাবী গুলো হলো ১। সড়ক দূর্ঘটনাকে দূর্গটনা হিসেবে দেখে সকল মামলায় জামিন যোগ্য বিধান ২। শ্রমিকের দন্ডে ৫লক্ষ টাকার পরিবর্তে ৫০হাজার টাকা অর্থ দন্ডের বিধান যুক্ত করা, ৩। সড়ক দূর্ঘটনায় জটিলতার মামলায় তদন্ত কমিটিতে শ্রমিক ও মালিক প্রতিনিধিদের অন্তভূক্ত করা ৪। ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা ৮ম শ্রেনির পরিবর্তে ৫ম শ্রেনি নির্ধারন করা ৫। কাগজ পত্রাদি চেকিংয়ের নামে সড়কে অহেতুক পুলিশ হয়রানী বন্ধ করা ৬। ওয়েক্কেলে জরিমানার পরিমান কমানো ৭। আইনে কোন কোন ক্ষেত্রে অর্থদন্ডের পরিমান না থাকায় জটিলতা সৃষ্টি হওয়া সমুহ বিপদ থেকে এটি সংশোধন করা ৮। আলোচনার মাধ্যমে অন্যান্য আইন সংশোধনে উদ্যোগ প্রকাশ করার দাবী জানান শ্রমিক নেতারা।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে