কিশোরগঞ্জ, নীলফামারী থেকে:  নীলফামারী কিশোরগঞ্জ উপজেলার সদর ইউপির পুষনা শহীদ শরিফুল ইসলাম ৫ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। ফলে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের পোহাতে হয় চরম দুর্ভোগ।সরেজমিন সোমবার দেখা গেছে,রাস্তা থেকে স্কুলের মাঠ নিচু হওয়ার কারণে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের কোন ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় স্কুলটির চারপাশে থৈথৈ করছে পানি।আর মাঠটির বেশির ভাগ অংশই আগাছা, কচুরিপানায় একাকার হয়ে জলমগ্নে পরিণত হয়েছে ।অল্প কিছু অংশে পানি না থাকলেও তা কর্দমাক্ত ও স্যাঁতসেঁতে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকলেও শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষ ছেড়ে মাঠে নামতে পারছে না। জলাবদ্ধতায় শ্রেণিকক্ষে যাতায়াতের সময় কোমলমতি শিক্ষার্থীরা অনেকেই পা পিছলে পড়ে যায়। এতে নোংরা হয় তাদের জামা-কাপড়।এ ছাড়া মাঠে জমে থাকা কাদা পানির কারণে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি কমে যাওয়াসহ শরীরচর্চা ও জাতীয় সংগীত গাইতে পারে না। এতে করে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম। এ পরিস্থিতিতে দ্রুততার সঙ্গে স্কুল মাঠের জলাবদ্ধতা নিরসনের জোর দাবি জানান, শিক্ষার্থী ও অভিভাবক মহল। বিভিন্ন শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা বলেন,তারা বাড়িতে বদ্ধ পরিবেশে থাকে,আবার বিদ্যালয়ে এসে শ্রেণিকক্ষেও একই অবস্থা। দ্রুত মাঠটি সংস্কার করার দাবি জানায় তারা।স্থানীয়রা জানায়, মাঠটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় সামান্য বৃষ্টিতে হাটু সমান জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে শিশু শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগের সীমা থাকে না।কিন্তু জলাবদ্ধতা নিরসনে সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর বাস্তব ভিত্তিক কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। প্রধান শিক্ষক শওকত আলী বলেন,এই স্কুলে ২৫০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। দীর্ঘ ৯বছর ধরে বর্ষার সময় মাঠে পানি জমে থাকায় স্কুলের শিক্ষার্থীরা খেলাধুলাসহ নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। এ বিষয়টি প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারসহ অত্র ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে জানানো হয়েছে। কিন্তু এ অবধি তারা কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়নি। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শরিফা আখতার জানান, মাঠটি নিচু হওয়ার কারণে বর্ষার পানিতে মাঠে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। সরকারী ভাবে স্কুলের মাঠ ভরাটের কোন নির্দেশ বা বরাদ্দ না থাকায় এ জন্য উপজেলা মাসিক মিটিংয়ে অত্র ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে অবগত করা হলেও কোন কাজ হয়নি। সদর ইউপি পরিষদ চেয়ারম্যান আনিছুল ইসলাম আনিছ জানান,স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় বড় ধরনের কোন বরাদ্দ না থাকায় মাটি ভরাট করা সম্ভব হয়নি। এর পরও একাধিকবার শ্রমিক পাঠানো হয়েছিল কিন্তু সেখানে মাঠ ভরাটের কোন মাটি না পাওয়া যায়নি।তিনি আরো জানান, এসব কাজ মুলত সংসদ সদস্যের বরাদ্দ থেকে করা দরকার।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে