মাফি মহিউদ্দিন, কিশোরগঞ্জ, (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলায় তৃতীয় ধাপে ইউপি নির্বাচনে সেয়ানে সেয়ানে ত্রিমুখী লড়াই হবে এবারে আসন্ন ইউপি নির্বাচনে। আগামী ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে এ নির্বাচন। ইউপি নির্বাচনের এ বিষয়ে নিয়ে জনগনের মাঝে নানা জল্পনা-কল্পনা হচ্ছে।

এ বারের নির্বাচনেও কিশোরগঞ্জ সদর ইউনিয়নে নৌকার মাঝি হয়েছেন, গত বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান আনিছুল ইসলাম আনিছ। তিনি দেশনেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, জেলা পর্যায়ে নেতাকর্মী ও সদর ইউপির দলীয় এবং সর্বস্থরের মানুষকে তার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তার সাথে সাথে সকলকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে গতবারের মত এবারোও তার পাশে থেকে মাঠ পর্যায়ে কাজ করার জন্য দলীয় নেতাকর্মীকে আহবান যানিয়েছেন।

তিনি বলেন আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে সদর ইউনিয়নকে বল্য বিবাহ, জুয়া, মাদক মুক্ত এবং শতভাগ বিধবা ও বয়স্ক ভাতা নিশ্চিত করেছি। তাই আমার ইউনিয়নের সকল জনগণকে পূর্ণরায় নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে তাদের পাশাপাশি থেকে সেবা করার অনুরোধ করছি। তিনি আরোও বলেন এবারে আওয়ামী লীগের মধ্যে কোন প্রকার দন্ধ-বিরোধ নেই। তাই তিনি সকলকে একাকাট্টা হয়ে কাজ করার জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান করেছেন।

অপর দিকে রয়েছেন হোসেন শহীদসোহরাওর্দী ( গ্রেনেট বাবু)। তিনি কিছু দিন আগে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি থেকে জাতীয় পার্টিতে যোগদান করেন। এবং লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে সদর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় প্রচার-প্রচরণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

মুঠোফোনে তার সাথে কথা হলে তিনি বলেন আমি এবারে সম্পূর্ণ আশাবাদী এবারের নির্বাচনে লাঙ্গল প্রতীকের জয় নিশ্চিত। তিনি লাঙ্গল প্রতীক পেয়ে অনেক খুশী। তার প্রচার-প্রচারোনায় তার পাশে রয়েছেন, নীলফামারী-৪ আসনের সংসদ সদস্য আহসান আদেলুর রহমান আদেল, এবং বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির দলীয় নেতাকর্মী বৃন্দ। সকলে হাতে হাত মিলিয়ে মাঠে কাজ করছে। তিনি আরোও বলেন কিশোরগঞ্জ উপজেলা বাজারে সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হয়ে ২০০৯ সালে তিনি প্রথম এ বাজারে গরুর হাট,সাইকেলের হাটসহ বিভিন্ন উন্নায়ন মূলক কাজ করেছেন। তিনি মাইক্রোবাস সমিতির রেজিঃ নং-২২০ এর সাবেক সভাপতি ছিলেন। তাই তিনি সকলের কাছে লাঙ্গল প্রতীকে ভোট দেয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন। তিনি বলেন নির্বাচিত হলে আফামার জনগনের পাশে আছি, ছিলাম এবং ভবিষ্যৎ থাকব।

তৃতীয় পক্ষে রয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একনিষ্ঠ কর্মী ও কিশোরগঞ্জ সদর ইউনিয়নের চার বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও এবারেও সতস্ত্র পদ প্রার্থী এ টি এম আনিছুল ইসলাম (আনুর) তার সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন আমি কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় চারবার চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছি। ১মবার ১৯৮৩-৮৮ সাল পর্যন্ত এবং ১৯৯২ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত টানা ১৫ বছর একসাথে চেয়ারম্যান ছিলাম। সকল মানুষের দোড়গোরায় আমি গিয়েছি তাদের ভাল মন্দ দেখা-শোনা করেছি। এবারে আমি সতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করব ইনশাআল্লাহ। আর এটাই আমার জীবনের শেষ নির্বাচন। তাই সকলের কাছে সবিনয় নিবেদন শেষ বারে আমার পাশে থেকে সকলেই সহযোগিতা করবে। বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে জানা যায় এ টি এম আনিছুল ইসলাম (আনুর) জনসমর্থনে ভাল রয়েছে।

কিশোরগঞ্জ ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের শরিফুল,রফিকুল, সালামসহ অনেকে বলেন,এবারে চেয়ারম্যান কে হবে তা বলা অসম্ভব। আরোও কিছু অন্যান ওয়ার্ডের ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এবারে ভোটাররা সিদ্ধান্ত নিতে হিমসিম খাচ্ছে। কে কাকে ভোট দিয়ে চেয়ারম্যান করবে সঠিক ভাবে বলতে পারছে না। তাই নিয়ে ভোটারদের মাঝে নানা গুন্জন চলছে। কারণ যে যে প্রার্থীরা নির্বাচন করছে তারা সকলে হেভিওয়েট প্রার্থী। তবে সকলে একটি কথা বলছে যে, এবারের নির্বাচনে লড়াই হবে সেয়ানে সেয়ানে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে