মাফি মহিউদ্দিন, কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলায় লোমহর্ষক একটি ঘটনা ঘটেছে। মোবাইলে ডেকে এনে হত্যার চেষ্ঠা।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, কিশোরগঞ্জ উপজেলায় ২৮ আগস্ট ৪ নং বাহাগিলি ইউনিয়নের উত্তর দুরাকুটি মার্টার পাড়া গ্রামের আসাদুল ইসলামের এস এস সি পরীক্ষার্থী আদর আলীর সাথে এরক লোমহর্ষক ঘটনা ঘটেছে।

তারাগঞ্জ উপজেলার আঙ্গুর আলীর ছেলে শাহীনুর রহমান বেশ কিছু দিন থেকে সাব-রেজিষ্টারী অফিসের পিচনে বাসা ভাড়া নিয়ে তার স্ত্রী সহ রশিদ বিডিআর নামের এক ব্যাক্তির বাসায় ভাড়া থাকে। সেখান থেকে শাহীনুর ও আদর আলীর পরিচয়। সে সুবিধা নিয়ে শাহীনুর আদর আলীর কাছ থেকে বেশ কিছু টাকাও ধার নিয়েছে।

এদিকে বিপাকে পড়েছে আদর আলীর গ্রামের মৃত কছির উদ্দিনের ছেলে আশরাফুল তার বিকাশের দোকানে স্কুলের পাশাপাশি সংসারের টানা পোড়ানোর জন্য তার দোকানে থাকতো আদর আলী।

কিন্তু এস এস সি পরীক্ষা সামনে আসার কারণে সে দোকানে আর কাজ করতে আসতে পারবেনা বলে তার মালিককে।

স্বাভাবিক ভাবে তার মালিকের মাথায় বাজ পড়ার উপক্রম হবে যায়। তখন সকলে মিলে বুদ্ধি করে। আর এ দিকে
আশরাফুল একাই দোকান চালাতে হিমশিম খায়।

তাই সকলে মিলে মাস্টার প্যালন করে আদর আলীকে ২৮ আগস্ট রাত ৭.৩০ মিনিটের সময় মোবাইলে টাকা দেওয়ার কথা বলে, উত্তর দুরাকুটি জয়নন্দের কোর্ট বরমতল ক্যানেল ব্রিজের সাইড ক্যানেলে ডেকে নিয়ে গিয়ে শাহীনুর তার শ্বশুর ও সালারা মিলে আদর আলীকে লাঠি দায়ে মারঢাং করে। এবং তার পরিহিত গেন্জি ছিড়ে তার মুখ বেঁধে ফেলে। এবং তাদের হাতে থাকা লাঠি দিয়ে আদর আলীর গলা চিপে ধরে শ্বাস রোধ করার চেষ্টা করে এমন সময় দেলোয়ার হোসেন নামের এক অটো চালক বাড়ীর ফেরার পথে সেই ক্যানে দিয়ে যাচ্ছিল। তার গাড়ীর আলো দেখে তারা সকলে পালিয়ে যায়। কোন রকম আদর আলী জানে বেঁচে গেলেও কিশোরগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তখন আদর আলী অজ্ঞান অবস্থায় ছিল। পড়ে কর্তব্যরত ডাঃ উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।

পড়ে আদর আলীর বাবা কিশোরগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ করেন। সাথে সাথে জরুরী টিমের দায়িত্ব থাকা কর্তব্যরত এস আই রশিদ অভিযান চালান কিন্তু শাহীনুর ও স্ত্রী বাড়ীর পিছনের ওয়াল টপকিয়ে পালিয়ে যায় পড়ে তার শ্বশুর বাড়ী ৩ নং নিতাই ইউনিয়নের কাচারীপাড়া যান সেখানেও কাউকে না পেয়ে চলে আসেন।

পড়ে মোবাইলে ছেলের দাদা জানান যে, বাহাগিলি চেয়ারম্যান সুজাউদ্দৌলা লিপটন ও কিশোরগঞ্জ সদর ইউপি চেয়ারম্যান হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দি দু,জনে মিলে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার জন্য দুই পক্ষের কাছ থেকে কাগজে স্বাক্ষর নেয়।

এ ব্যাপারে এস আই রশিদের সাথে কথা হলে তিনি বলেন পড়ে বাদীরা আমার কাছে আসেনি। মিমাংসার ব্যাপারে আমি জানিনা।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে