নিজস্ব প্রতিবেদক, কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) : রোগাক্রান্ত গরুর মাংস বিক্রি করার অপরাধে রান্না করা মাংস কসাইর মুখে ছুড়ে দিয়েছেন এক ভুক্তভুগি গ্রাহক। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল শনিবার সকাল আনুমানিক ১০টায়, নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার মাগুড়া বাসষ্ট্যান্ডে বক্কর কসাইয়ের দোকানে। পরে পরিস্থিতি বেসামাল হলে মাংসের টাকা ফেরত দিয়ে রক্ষা পায় কসাই অঞ্জু মিয়া। সূত্র জানায় মাগুড়া খামাত পাড়া গ্রামের মেরিনের খামার থেকে একটি অসুস্থ রোগাক্রান্ত আধামরা গরু একই গ্রামের মৃত মফিল উদ্দিনের ছেলে রঞ্জু কসাই অল্পদামে নিয়ে এসে জবাই করে। সেই মাংস কলেজ পাড়া গ্রামের মৃত মহির উদ্দিন ওরফে কেচু মামুদের ছেলে আব্দুল খালেক হাফ কেজি ক্রয় করেন। মাংস বাড়িতে নিয়ে দিয়ে রান্না করা শুরু করলে দীর্ঘ সময় মাংস সিদ্ধ না হওয়ার কারনে তার সন্দেহ হয়। পরে বিষয়টি গোপনে জানতে পেলে রান্না করা মাংস নিয়ে এসে রাগান্নিত হয়ে রঞ্জু কসাইকে দোকানে না পেয়ে কেচুয়া ও বক্কর কসাই এর মুখে মাংস ছুড়ে মারে। পরে মাংসের টাকা ফেরত দিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়। এ ব্যাপারে কসাই রঞ্জুর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি। ভুক্তগোগি আব্দুল খালেক সহ নাম প্রকাশে অনইচ্ছুক মাগুড়া বাসষ্ট্যান্ডের স্থানীয় লোকজন অনেকে সংবাদদাতাকে জানান শুধু এটাই নয়, মাগুড়া বাসষ্ট্যান্ডে প্রতিনিয়ত অসুস্থ রোগাক্রান্ত এমকী মরা গরু জবাই করারও তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। উল্লেখ্য যে, মাগুড়া বাসষ্ট্যান্ডে একাধিক কসাই হওয়ার কারনে কেউ গরু জবাই করেন না। কসাইরা কোথায় থেকে মাংস নিয়ে এসে তা কেহই জানেনা। গ্রাহকরা শুধু জানেন বাইরে থেকে মাংস কিনে নিয়ে এসে বিক্রি করে কসাইরা। আর মাঝে মধ্যে অসুস্থ কিংবা রোগাক্রান্ত গরু সস্তাদামে পেলে সেটাই তরিঘরি করে জবাই করে মাং চালিয়ে দেয়। এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুল কালাম আজাদ এর সাথে ৬.১৫ মিনিটে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তাই মাগুড়া বাসষ্ট্যান্ডের রোগাক্রান্ত ,অসুস্থ যত্রতত্র গরু জবাই বন্ধ ও মাংস বিক্রির নির্ধারিত স্থান নির্ধারন,মলমুত্র পুতে রাখা সহ নিয়ম মেনে গরু জবাই করার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে