Kishorgonj, Nilphamari Phot-01

বিডি নীয়ালা নিউজ(১৭ই মে১৬)-আ,,,মহিউদ্দিন শেখ(কিশোরগঞ্জ, নীলফামারী প্রতিনিধি)ঃ কিশোরগঞ্জ উপজেলা কৃষক নিহার রঞ্জন। ১৬মার্চ ৩৫ শতক জমিতে বারি মুগ-৬ বপণ করে ১৬মে কর্তন করেন। ৬২ দিনে ঘরে ফসল তুলতে পেরে খুশি তিনি। পেয়েছেনও ৪ মণ ডাল।

শুধু নিহার রঞ্জন নন স্বল্পমেয়াদি আমন-সরিষা অথবা আলু-মুগডাল-আউশ শস্যবিন্যাসের আওতায় মুগডাল প্রদর্শণী করেছেন জেলার ৩৫০জন কৃষক।

সোমবার বিকেলে কিশোরগঞ্জ উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের উত্তর বড়ভিটা গ্রামে আনুষ্ঠানিক ভাবে মুগডালের শষ্য কর্তন উপলক্ষে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও আরডিআরএস বাংলাদেশ’র আয়োজনে এবং কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশন (কেজিএফ) ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর’র (ডিএই) সহযোগিতায় মাঠ দিবসে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নীলফামারীর উপ-পরিচালক গোলাম মোহাম্মদ ইদ্রিস।

বিশেষ অতিথি হিসেবে কিশোরগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ এনামুল হক এবং স্বাগত বক্তব্য দেন আরডিআরএস বাংলাদেশ’র কৃষি ও পরিবেশ সমন্বয়কারী মোঃ মামুনুর রশিদ।

অন্যান্যের মধ্যে মাঠ দিবসের অনুষ্ঠানে বড়ভিটা ইউনিয়ন ফেডারেশনের কৃষক ফোরাম সভাপতি ব্রজেন রায়, আরডিআরএস নীলফামারীর কৃষি অফিসার শরিফা পাশা, প্রকল্পের গবেষণা সহযোগী মহিদুল ইসলাম ও গবেষণা সহকারী এনামুল হক উপস্থিত ছিলেন।

মাঠ দিবসের মাধ্যমে অতিথিরা কৃষক নিহার রঞ্জনের মুগডাল আনুষ্ঠানিক ভাবে কর্তন উদ্বোধন করলেও তারপর  থেকে জেলা জুড়ে শুরু হয়েছে মুগডাল কর্তন।

কৃষক নিহার রঞ্জন জানান, আমি জমিতে বছরে চার ফসল চাষ করছি। জমি   ফেলে না রেখে কোন না কোন ফসল উৎপাদন করে ঘরে ফসল তুলছি। এতে করে আর্থিক ভাবে লাভবান হওয়ার পাশাপাশি কাজে নিয়োজিত থাকতে পারছি। বছরের শুরুতে আমন পরে সরিষা এরপর মুগডাল এরপর আউশ আবাদ করছেন বলে জানান কৃষক।

আরডিআরএস’র কৃষি ও পরিবেশ সমন্বয়কারী মামুনুর রশিদ জানান, চলতি বছর জেলায় স্বল্পমেয়াদি আমন-সরিষা অথবা আলু-মুগডাল-আউশ শস্যবিন্যাসের আওতায় ৩৫০ জন কৃষক ৩৫০বিঘা জমিতে বারিমুগ-৬ এবং বিইউ মুগ-৪ এর প্রদর্শনী প্লট স্থাপন করেছেন।

বারি মুগ-৬ এবং বিইউ মুগ-৪ স্বল্পমেয়াদি এবং উচ্চ ফলণশীল জাতের মুগডাল যা ৬৫-৭০ দিনের মধ্যে কর্তন করা যায়। এছাড়া গড় ফলন বিঘা প্রতি ৪মণ হয় বলে জানান তিনি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নীলফামারীর উপ-পরিচালক  গোলাম মোঃ ইদ্রিস বলেন, বছরে এক জমিতে চার ফসল উৎপাদন করে কৃষকরা লাভবান হতে পারেন। জমি ফেলে না রেখে উৎপাদন মুখি করা গেলে চাহিদা পূরণ সহ আর্থিক ভাবে পরিবর্তন হওয়ার সুযোগ রয়েছে। প্রয়োজনে কৃষককে বিভাগের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগীতা করা হবে।

আরডিআরএস নীলফামারীর কৃষি কর্মকর্তা শরীফা পাশা জানান, মুগ ডালের বীজ, ঔষুধ বিনামুল্যে প্রদান করা হয় কৃষকদের। চাষ সম্প্রসারণে কৃষি বিভাগের সহযোগীতায় মাঠ পর্যায়ে উদ্বুদ্ধ করণ করা হচ্ছে। এছাড়া আমন মৌসুমের জন্য ইতোমধ্যে ৩৫০জন কৃষককে বিনামুল্যে বীজ দেয়া হয়েছে।

নীলফামারী সদরের টুপামারী, কুন্দপুকুর, জলঢাকা উপজেলার টেঙ্গনমারী এবং কিশোরগঞ্জ উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নে আবাদ হয়েছে মুগডাল।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে