কিশোরগঞ্জ, নীলফামারী থেকেঃ ওরা জন্মের গরিব যে স্বপ্ন দেখার মত জো নেই তাদের।কিন্তু সেই স্বপ্ন সহসায় ধরা দিয়েছে ভাগ্যের চাকায়।আর তা সম্ভব হয়েছে গরীব-দুঃখী মানুষের স্বপ্নের সারথি প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার বদান্যতায়। মুজিববর্ষে এমন ঘোষণা থাকবেনা কোন গৃহহীন পরিবার।এ প্রত্যয়ে নীলফামারী কিশোরগঞ্জ উপজেলায় গ্রামে গ্রামে গড়ে উঠেছে স্বপ্নের রূপনগর স্বপ্ননীড়।এতে ঠাঁই হয়েছে ভাগ্যবিড়ম্বিত ভিটেবাড়িশূন্য প্রতিবন্ধী, পূর্নবাসিতভিক্ষুক,বয়স্ক বিধবা স্বামী পরিত্যাক্তা ক শ্রেণীর মানুষদের। এতদিনের পলিথিন আর খড়কুটো মোড়ানো ভাঙ্গাচোরা ঘরের আসমানিরা এখন দৃষ্টিনন্দন এমন নিশ্চিন্তের উপহারের স্বপ্নের ঘরে প্রথম ঈদ উদযাপনে খুশির জোয়ারে ভাসছেন। বিভিন্ন প্রান্তরের নীড়হারা মানুষ একত্রে মিলে মিশে ঈদ উদযাপনের বিষয়টি যেন স্বপ্নের মতো। অর্থনৈতিক মুক্তি ত্বরান্বিত করে আত্মমর্যাদা নিয়ে বেঁচে থাকার প্রেরণায় নির্ভরশীলতার গ্লানি মুছে নবনির্মিত হরেক রঙে রঙিন ঘরগুলো পেয়ে তারা প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে ৩১০টি ঘরের মানুষ শান্তি খুঁজে পেয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহারে।উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে,দুই শতাংশ খাসজমি ওপর দুটি করে কক্ষ ছাড়াও সামনে একটি বারান্দা, একটি শৌচাগার, একটি রান্নাঘর,আরও সংযুক্ত করা হয়েছে সুপেয় পানি ও বিদ্যুতের ব্যবস্থা।গৃহ ওজমি প্রদানের সঙ্গে সবুজ বেষ্টনী ও নির্মল পরিবেশ তৈরী এবং স্বাস্থ্যসেবা ও শিশুদের প্রাথমিক বিদ্যালয় গমন নিশ্চিতকরণসহ সকল নাগরিক সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে। নিতাই বাড়ি মধুপুরের আশ্রয়নের বাসিন্দা হাওয়া বেগম (৭৫)সহ আরও অনেকে জানান,তিন পুরুষ থেকে পরের জায়গার ঝুপড়ি ঘরে রৌদ-বৃষ্টি ঝড়ে কতইনা কষ্টে জীবন পার করছি সে কখা মনে হলে চোখে পানি আসে।আর এখানে সবাই মিলে ঈদ উদযাপন করতে পেরে ভালই লাগছে।দোয়া করি প্রধানমন্ত্রী যেন ভালো থাকে। উপজেলার নির্বাহী অফিসার রোকসানা বেগম জানান,একদিন যে মানুষগুলোর কোনো ঠিকানা ছিল না, ছিল না বসবাসের জন্য এক টুকরো ভূমি, মাথার ওপরে একটি ছাদ,মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে আশ্রয়ণ প্রকল্পে ২শতাংশ জমি- দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পাকা ঘর পেয়ে প্রত্যেক উপকারভোগী ও তার পরিবারে নেমে এসেছে আনন্দের বন্যা। তাদের চোখে মুখে আজ পরিতৃপ্তির হাসি।অনেকের জীবনে এবারকার ঈদ ধরা দিয়েছে এক পরম পাওয়ার ঈদ হিসেবে।নীড়হারা আশ্রয়হীন মানুষগুলো খুঁজে পেয়েছে তাদের স্বপ্নের ঠিকানা। তিনি আরও বলেন,অসহায় মানুষগুলোর এখনকার অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়, এটা শুধুই অনুভবের বিষয়।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে