মাফি মহিউদ্দিন, কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার বড়ভিটা ইউপির রেসিন্ডেসিয়াল মডেল স্কুলের দশম শ্রেণির দুই ছাত্রীকে বেধরমারপিট করেছে ঐ স্কুলের পরিচালক বাদশা আলমগীর। তিনি বড়ভিটা স্কুল এন্ড কলেজে শিক্ষকতাও করেন।

গত সোমবার সকাল ১১ টার সময় স্কুল কক্ষে বন্ধ করে বড়ভিটা পানাতিপাড়া গ্রামের কৃষ্ণ চন্দ্রের মেয়ে শ্রীমতি পপি রানী রায় ২য় সাময়িক পরীক্ষা না দেয়ার কারণে তাকে ও, বড়ভিটা ঘোনপাড়া গ্রামে বেলাসের মেয়ে তাসকিনা আকতার বৃষ্টি নামের তার বান্ধবী এবং নবম শ্রেণির তিনটি ছেলেকে সহ বেধরমারপিট করেছে রেসিন্ডেসিয়াল মডেল স্কুলের পরিচালক বাদশা আলমগীর।

মেয়েটি এখন বাড়ীতে আছে তার বাবা নেই মা রাজশাহীতে একটি এনজিওতে চাকুরী করেন। তার অবিভাবক না থাকায় মেয়েটি অভিযোগ করতে পারেনি। তার মা আজ সকালে বাড়ীতে এসেছেন তারা এখন ঐ পরিচালকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করবেন বলে তার মা জানান।

এ বিষয়টি নিয়ে রেসিন্ডেসিয়াল মডেল স্কুলের অবিভাবকরা চিন্তািত হয়ে পড়েছেন। নাম না প্রকাশ করার শর্তে কয়েকজন অবিভাবক বলেন, একটি পরীক্ষা না দেয়ার কারণে যে ভাবে ঐ স্কুলের পরিচালক ছাত্র-ছাত্রীদের যে ভাবে মারপিট করছে তাতে আমরা আমাদের বাচ্চাদের স্কুলের রাখতে ভয় পাচ্ছি। কি জানি আমাদের বাচ্চাদের পিঠাবে।

এছাড়া আরো কিছু শিক্ষার্থী বলেন, পরিচালক বাদশা আলমগীর শুধু পিঠায় না। ওনার নিজের তৈরি একটি কাঠের বেত তৈরি করা আছে এবং ক্রিকেট বেট দিয়েও তার পারসোনাল রুমে ছাত্র-ছাত্রী ডেকে পিটায়। উনি একজন বদরাগী লোক কার কথা মানেন না বা শোনেন না।

এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ উপজেলার মাধ্যমিক অফিসার এ টি এম নরুল হুদার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, এখনো কোন অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে