কাওছার হামিদ, কিশোরগঞ্জ, নীলফামারী: টানা বর্ষনে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলসহ রাস্তাঘাট প্লাবিত হয়েছে। ফলে দিন মজুর শ্রেণির খেটে খাওয়া মানুষের মধ্যে চরম দূর্ভোগ দেখা দিয়েছে। কাজ করতে না পেরে কোন রকম জীবন জীবিকা নিয়ে হতাশায় কাটছে দিন।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে কিশোরগঞ্জ সদর ইউনিয়নের ঝর্নার মোড় হতে মুন্সি পাড়াসহ কলেজ রোডটি পানিতে তলিয়ে গেছে। মাগুড়া ধনী পাড়া গ্রামের ডাঃ আনছার আলীর বাড়ী হইতে দুলালের বাড়ী যাওয়া রাস্তাটি হাটু পানিতে পরিনত হয়েছে। মাগুড়া ইউনিয়নের শাহ পাড়া, দোলা পাড়া, গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের কাকেয়া পাড়া, দোলাপাড়া, সয়রাগন্ধা,বাবুপাড়া, বাহাগিলি ইউনিয়নের পাগলাটারী ফকির পাড়া,রনচন্ডী ইউনিয়নের রনচন্ডী দক্ষিন পাড়া পুটিমারীর দোলা বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে, বাফলা,বাংলাবাজার, চাঁদখানা ইউনিয়নে শনিবার রাত আনুমানিক ১০টায় টর্নেডো আঘাত হানে এতে অনেক ঘরবাড়ী বিধস্ত হয়।
শনিবার দিবাগত রাতে মাগুড়া ইউনিয়নের নতুন করে বন্যা প্লাবিত হয়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে, বানিয়া পাড়া গ্রামের মমেদুল হক, শাহাজাহান,নওয়াব হোসেন, আলাল উদ্দিন ও শফিকুল ইসলামের বাড়ী। মাগুড়া মিয়া পাড়া, বৈশ্য পাড়া, বালাপাড়া মাগুড়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ পানিতে তলিয়ে গেছে। মাগুড়া বাসষ্ট্যান্ড হোটেল ব্যবসায়ী এনতাজ আলীর পুকুর থেকে প্রায় ১০হাজর টাকা মাছ টানা বর্ষনের ফলে পুকুর উচলিয়ে বের হয়ে গেছে। এছাড়াও অনেক ফসলের ক্ষেত যেমন বেগুন, মুলা, সবজি, কাচা মরিচ, আদা, রসুন, ইরিবোরো ক্ষেত বিভিন্ন ধরনের ফসলের জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে কৃষকের মাথাত হাত পরেছে। এদিকে টানা বর্ষনের ফলে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার রাস্তাঘাট চলাচলের অনপযোগি হয়ে পড়েছে। এখনো গ্রামের অধিকাংশ রাস্তা হাটু পানি লক্ষকরা যাচ্ছে। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের সাথে মুঠো-ফোনে কথা বলে হলে তেনারা বলেন টানা বর্ষনের ফলে বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে এবং আমাদের কাছে অনেক ঘরবাড়ীতে পানি উঠার খরব এসেছে বিষয় গুলো আমরা দেখছি।
এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ রোকসানা বেগম এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন উপজেলা বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে এবং চাঁদখানা ইউনিয়নে টর্নেডোর আঘাত হেনেছে খরব পেয়েছি এলাকা গুলো পরিদর্শন করার জন্য বের হয়েছি।