কাওছার হামিদ, কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় সম্প্রতিকালে ঘরে ঘরে দেখা দিয়েছে ল্যাম্পি স্কিন ডিজিজ (এলএসডি)নামের ভাইরাস জনিত রোগ এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে অধিকাংশ গরু। ফলে চিন্তিত হয়ে পড়েছে সাধারন কৃষকসহ খামারীরা। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে ৭৫% গরু এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে।

কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) থেকে জানাগেছে এটি এক প্রকার পক্স ভাইরাস এল এসডি ভাইরাসের সংক্রমণে গবাদি পশুতে এই রোগ দেখা দেয় এবং এক গরু থেকে আরেক গরুতে ছড়িয়ে পড়ে।

মাগুড়া শাহ পাড়া এলাকার গাভী পালনকারী খামারী তাজুল ইসলাম জানান এখন পর্যন্ত কোন গাভী আক্রান্ত হয়নি তবে গাভীর খামার নিয়ে আতংঙ্কে আছি। একই কথা বল্লেন খামারী সাবেক ইউপি সদস্য মাজেদুল হক।

গরু ব্যবসায়ী ইউসুব আলী জানান আমার ১০টি ষাড়গরু রয়েছে এখন পর্যন্ত ১টি গরু আক্রান্ত হয়েছে বাকি গরু গুলো আক্রান্ত হবেকিনা সেই আতংকে আছি।

খামারী ও পারিবারিক ভাবে গরু পালনকারীরা জানান প্রথম অবস্থায় স্থানীয় পশু চিকিৎসক দিয়ে প্রাথমিক টিটমেন্ট নেওয়া হচ্ছে এবং অনেক গরু ভাল হয়েছে।

এ রোগের বিষয়ে উপজেলা প্রাণী সম্পদ ভেটেনারী সার্জন নাহিদ সুলতানের সাথে মুঠো—ফোনে কথা হলে তিনি বলেন শুধু কিশোরগঞ্জ উপজেলায় নয়, পাশ্ববর্তী তারাগঞ্জ ও জলঢাকা উপজেলায় এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে।

তিনি বলেন এটি একটি ভাইরাস জনিত রোগ, প্রাথমিক অস্থায় আমরা ধারণা করেছি ল্যাম্পি স্কিন ডিজিজ হতে পারে। আমারা পরীক্ষার জন্য ল্যাবে নমূনা পাঠিয়েছি রিপোর্ট আসলে আমরা বলতে পারবো।

এ রোগের টিটমেন্ট সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান এখন পর্যন্ত এর কোন প্রতিশেধক কিংবা ভ্যাকসিন সরকারী ভাবে বের হয়নি।

তবে কিছু কোম্পানি এর ভ্যাকসিন আবিস্কার করছে, পরামর্শ হিসেবে গরুর গায়ে কোন প্রকার মশা—মাছি যাতে না পরে সেজন্য মশারী টাঙ্গিয়ে রাখার পরামর্শ দেন।

স্থানীয় পর্যায়ে ইউনিয়ন ভ্যাকসিনেটর আয়নাল হক জানান যেহেতু এই রোগের এখন পর্যন্ত কোন টিকা বের হয়নি, সেহেতু আক্রান্ত এলাকা গুলোতে কোন টিকা প্রদান করা হচ্ছেনা তবে কিছু কিছু এলাকায় পরীক্ষামুলকভাবে গোটপক্স রোগের টিকা প্রদান করা হচ্ছে।

এ রোগে মৃত্যুরহার ২% থেকে ৩% পর্যন্ত। এর আগে২০২০ সালে এ রোগের প্রথম প্রাদৃভাব দেখা দিয়েছিল বলে জানান।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে