কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) থেকে, আ,ফ,ম মহিউদ্দিন শেখঃ নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার চাঁদখানা ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ নিয়োগের আড়াই লাখ টাকা ভাগাভাগি নিয়ে গতকাল রোববার বিকালে ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে চেয়ারম্যান ও মেম্বারের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটেছে।

পরে চৌরঙ্গীর বাজারে ইউপি সদস্য লুৎফর রহমান ভাকু চেয়ারম্যানের শ্যালক হামিদুল হক কিন্তুকে আটকে দিলে দু’গ্রুপের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ বাঁধে। কিশোরগঞ্জ থানা পুলিশ খরব পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ৩জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। আটককৃতরা হল- ১নং ওয়ার্ড সদস্য লুৎফর রহমান ভাকু (৪৮) চেয়ারম্যান হাফিজার রহমানের ছেলে হাসানুজ্জামান সান্টু (৩২) ও শ্যালক হামিদুল হক কিন্তু (৪০)।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, চৌরঙ্গীর বাজারে চেয়ারম্যান গ্রুপ ও মেম্বার গ্রুপের মধ্যে চৌকিদার নিয়োগের ঘুষের আড়াই লাখ টাকা ভাগাভাগি নিয়ে সংঘর্ষ বাঁধে। ঘটনা বেগতিক দেখে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ৩জনকে আটক করে।

চেয়ারম্যান হাফিজার রহমান হাফি জানায়,বেশ কয়েকদিন আগে চাঁদখানা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডে শূন্য পদের জন্য একজন গ্রাম পুলিশ নিয়োগ দেয়া হয়। রোববার আমি পরিষদে গেলে ১নং ওযার্ড মেম্বার গ্রাম পুলিশ নিয়োগের টাকার ভাগ চায় । আমি টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ওই মেম্বার আমাকে লাঞ্চিত করে। পরে আমার ছেলে ও শ্যালক এসে মেম্বারকে উত্তমমাধ্যম দেয়। সন্ধ্যায় আমার শ্যালক চৌরঙ্গীর বাজারে গেলে মেম্বারের লোকজন তাকে মারপিট করে।

থানায় আটক থাকা মেম্বার লুৎফর রহমান ভাকু জানায়,কয়েকদিন আগে ৯নং ওয়ার্ডে ১জন গ্রাম পুলিশ নিয়োগ দেয়া হয়। নিয়োগের আগে ওই প্রার্থীর কাছ থেকে চেয়ারম্যান আড়াই লাখ টাকা ঘুষ নেয়। কথা ছিল যে, ১লাখ টাকা চেয়ারম্যান নিয়ে অবশিষ্ট দেড় লাখ টাকা সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ৩জনসহ ৯জন মেম্বারের মধ্যে সমান ভাবে ভাগাভাগি করা হবে। কিন্তু আমার ভাগের টাকা চাইতে গেলে চেয়ারম্যানের ছেলে হাসানুজ্জামান সান্টু ও শ্যালক হামিদুল হক কিন্তু আমাকে বেধড়ক মারপিট করে।

কিশোরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ বজলুর রশীদ ঘটনার বিষয় স্বীকার করে বলেন,চেয়ারম্যান ও মেম্বার গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ৩জনকে আটক করা হয়েছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে