কাওছার হামিদ, কিশোরগঞ্জ, নীলফামারী প্রতিনিধি: নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর ১০ টাকা দরে ৩০ কেজি চাল বিতরণে সরকারী সিলমোহরকৃত বস্তা পরিবর্তন করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ডিলারদের বিরুদ্ধে।

সরকারীভাবে বরাদ্দকৃত ৩০ কেজির প্যাকেটজাত বস্তা খুলে বিতরণের কোন নিয়ম না থাকলেও ওই ডিলার অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে বরাদ্দকৃত বস্তা বিক্রির লক্ষে আত্নসাৎ করেছেন এমন অভিযোগ সুবিধাভোগীদের।

সোমবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাগুড়া ইউনিয়নের উত্তর সিঙ্গেরগাড়ী পারেরহাট পয়েন্টের ডিলার আব্দুল মজিদ (ছোট) নির্দিষ্ট স্থানে চাল বিতরণ না করে পয়েন্ট হতে দেড় কিলোমিটার দূরে তার নিজ বাড়ীতে তদারকী কর্মকর্তার অনুপস্থিতে, কেয়ারটেকারের মাধ্যমে প্রত্যেক সুবিধাভোগীদের প্যাকেটজাত চালের বস্তা খুলে তাদের স্ব-স্ব বস্তায় চাল বিতরণ করছেন।

চাল নিতে আসা কার্ডধারী, পেয়ারী, লাইজু বেগম, মমেলা খাতুন জানান, ডিলার প্রতিবারই আমাদের ৪’শ ৫০ জন সুবিধাভোগীদের ৩০ কেজি ওজনের বস্তা পরিবর্তন করে সাথে নিয়ে আসা বস্তায় চাল বিতরণ করেন।

এসময় বস্তা চাল ওলট-পালট করার সময় মেঝেতে পরে গিয়ে আমরা ওজনেও চাল কম পাচ্ছি । অপরদিকে কিশোরগঞ্জ সদর ইউনিয়নের প্রাণি সম্পদ অফিস মোড় এলাকার ডিলার রেজাউল করিম ফিলিপ সুবিধা ভু’গিদের প্যাকেট জাত বস্তার পরিবর্তে নিজস্ব বস্তায় চাল নিতে বাধ্য করছেন, বস্তা পরির্বতন করার বিষয়ে বলেন এগুলো ৩০ কেজির খালি বস্তা ওরা কি করবে?
এ বিষয়ে ডিলার আব্দুল মজিদের সাথে মুঠোফোনে সরকারীভাবে সীলমোহরকৃত বস্তা পরিবর্তনের নিয়ম আছে কি’না জানতে চাইলে তিনি বলেন, চাল পরিবহণ, বিতরণে শ্রমিক মজুরি দিতে হয়। এগুলোর টাকা আমি কোথায় পাবো। তাই বস্তা খুলে নেয়া হচ্ছে। আপনারা চলে আসেন বিকেলে দেখা হবে।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক তৌহিদুর রহমান জানান, সরকারী ৩০ কেজির বস্তা পরিবর্তন বা বিক্রির কোন নিয়ম নেই। যদি কোন ডিলার তা করে তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে