স্টাফ রিপোর্টার ঃ নীলফামারী কিশোরগঞ্জের প্রত্যন্ত পল্লী থেকে শহরাঞ্চলে ঘুটঘুটে অন্ধকার নিবারণের প্রধান অনুষঙ্গ ছিল কুপিবাতি।সেই  গ্রাম বাংলার  নিত্যপ্রয়োজনীয় কেরোসিন শিখার কুপিবাতির দম্ভ  অহংকার আজ চুরমার। এখন শুধুই স্মৃতি। কালের আবর্তনে ইতিহাস ঐতিহ্যের স্রোতধারায় মরতে বসেছে ওই কুপিবাতি। আর এ শিল্পের সাথে জড়িত কারিগররাও এ পেশা ছাড়তে শুরু করেছেন। আধুনিকতার পদভারে  বিজলি

বাতির দাপটে  বর্তমান সময়ে কেরোসিন যুগের বিলুপ্তিতে গ্রামীণ ঐতিহ্য কুপিবাতির প্রয়োজন ফুরিয়ে এসেছে। এইতো কয়েক বছর আগের কথা সন্ধ্যা হলেই গ্রাম ও গ্রাম্য বাজারে কুপির মিটিমিটি আলোয় চেনা যেত হাট-বাজারসহ গ্রামের সেই চিরচেনা রুপ। বর্তমানে পাল্টে যাওয়া এক সভ্যতায় নিয়ন আলোর  ঝলকানিতে কুপি বাতির স্থান দখল করে নিয়েছে  বাহারী বৈদ্যুতিক বাল্ব,সোলার, আইপিএস, চার্জার লাইট, র্টচ লাইট, মোবাইল লাইটসহ

আরো কত কি।ফলে দশ গ্রামে আর চোখে পড়ে না গ্রামবাংলার প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী কেরোসিন শিখার এই নিদর্শটি। এই নিদর্শনটির কদর  অন্য কারো কাছে হারিয়ে গেলেও আজও ডাকঘরের দাপ্তরিক কাজ করতে দেখা গেছে। আর  সৌখিন অনেক নিম্নআয়ের মানুষ সযত্নে  কুপিবাতি শিখয় সংরক্ষণ করেছেন নিদর্শন হিসেবে। তৎকালীন সময়ে ছোট বড় দু’ধরণের কুপিবাতির ব্যবহার ছিল। মাটি, লোহা, কাচ, টিন,পিতলের  আর বড় ছিল টিনের তৈরি ভুটুয়া। আবার গ্রামাঞ্চলে এই কুপিবাতি অনেকের নিকট  ন্যাম্পো  হিসেবে পরিচিত ছিল। ছোট ও বড় কুপিবাতি থেকে বেশি আলো পাওয়ার জন্য  কাঠ,লোহা বা বাঁশের তৈরি স্ট্যান্ড ব্যবহার করা হতো। কিন্তু বর্তমান সময়টাতে শতভাগ বিদ্যুৎতায়িত উপজেলায় আবহমান গ্রাম বাংলার আপামর জনসাধারণের অন্ধকারে আলো দেওয়া কুপিবাতি বিলুপ্তির পথে।আর নতুন প্রজন্মকে দেখতে হলে যেতে হবে জাদুঘরে ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে