দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে দেশের কিছু গণমাধ্যমে প্রকাশিত ও প্রচারিত সংবাদের সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেছেন, ‘কিছু কিছু গণমাধ্যমে এমনভাবে প্রচারণা চালানো হচ্ছে, যেন দেশে দুর্ভিক্ষ বিরাজ করছে। আমি দৃঢ়ভাবে আপনাদের জানাতে চাই, দেশে চাল-ডালসহ কোনো নিত্যপণ্যের ঘাটতি নেই।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সাশ্রয়ী দামে পণ্য কেনার জন্য টিসিবির দোকানে মানুষ ভিড় করবে, এটা তো স্বাভাবিক। এটাকে নেতিবাচকভাবে তুলে ধরার কী কারণ থাকতে পারে?’

বুধবার (১৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বাংলা নববর্ষ-১৪২৯ উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

টিসিবির পণ্য নিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ‘পবিত্র রমজান মাসে আমরা টিসিবির মাধ্যমে ভর্তুকি দিয়ে এক কোটি পরিবারকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কম দামে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। আসন্ন ঈদে এক কোটি ৩৩ হাজার ৫৪টি ভিজিএফ কার্ডের বিপরীতে এক লাখ ৩৩০ মেট্রিক টনের বেশি চালের বিশেষ বরাদ্দ দিয়েছে। ঢাকায় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মাধ্যমে প্রতিদিন ১৫টি ফ্রিজার ভ্যানে করে কম দামে মাংস, ডিম ও দুধ বিক্রি করা হচ্ছে। ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম এরই মধ্যে কমে স্বাভাবিক পর্যায়ে এসেছে।’

তিনি বলেন, ‘করোনা মহামারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও এই যুদ্ধের ফলে উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে বিশ্ববাজারে পণ্যের দামে অস্থিতিশীলতা দেখা দিয়েছে। জ্বালানি তেলের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। আন্তর্জাতিকভাবে পণ্য পরিবহনেও ভাড়া ব্যাপক বেড়েছে। ফলে আমাদের দেশেও কিছু কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে। আমরা তো চুপচাপ বসে নেই। সাধারণ মানুষের জীবনযাপনে স্বস্তি নিয়ে আসতে সাধ্যমতো চেষ্টা করছি।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘করোনা মহামারির সময়ও ২০২০-২১ অর্থবছরে আমাদের জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ হারে বেড়েছে। গত অর্থবছর রেকর্ড ২৪ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। এ বছরও আশানুরূপ রেমিট্যান্স আসছে। গত বছর রপ্তানি আয় হয়েছে ৪৪ দশমিক ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে রপ্তানি আয় গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৩৩ শতাংশ বেড়ে ৩৮ দশমিক ৬১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। এ প্রবণতা অব্যাহত থাকলে এ বছর রপ্তানি আয়ে বাংলাদেশ নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করবে।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমাদের অর্থনীতির মূলশক্তি কৃষি। সরকারের কৃষিবান্ধব নীতির ফলে চাল, শাক-সবজি, মাছ, মাংস, ডিম, দুধ উৎপাদনে আমরা এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ। কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে চলতি বোরো মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছি।

Jag/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে