কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুরুষ সহকর্মীদের মতো সড়কে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ডিউটি করতে হয় নারী পুলিশদেরও। এছাড়াও শহরের বড় কোনো উৎসব হোক অথবা কলকাতা বইমেলায় লাখো লাখো ভিড় সামলাতে দীর্ঘ সময় পথে থাকতে হয় তাদের।

আর সেই ডিউটি ছেড়ে যাবার উপায় না থাকায় শৌচাগারের অভাবে প্রায়ই সমস্যায় পড়েন নারী পুলিশ কর্মীরা।

তবে এবার তাদের কথা ভেবে কলকাতা পুলিশ পরিকল্পনা করেছে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে এবং জনবহুল জায়গায় ভ্রাম্যমাণ শৌচাগার ভ্যান রাখার। কলকাতা পুলিশের প্রধান দপ্তর লালবাজার জানিয়েছে, এর জন্য ১৮টি ভ্রাম্যমাণ শৌচাগার ভ্যান কেনা হচ্ছে। এরই মধ্যেই এ প্রকল্পে দিল্লি সরকার ছাড়পত্র দিয়েছে। ভ্রাম্যমাণ শৌচাগার প্রকল্পে কেন্দ্রীয় সরকার অর্থায়ন করবে ৬০ শতাংশ। বাকি দিতে হবে লালবাজারকে।

পুলিশ কর্তাদের আশা, সামনেই দুর্গাপূজা। ওই সময়ে এ ভ্রাম্যমাণ শৌচাগার পথে নামানো যাবে। এর ফলে ডিউটি চলাকালে শৌচাগারের অভাবে আর অসুবিধায় পড়তে হবে না নারী পুলিশ কর্মীদের। তবে তাদের কথা ভেবে এ ভ্রাম্যমাণ শৌচাগার আনার পরিকল্পনা হলেও সেটি ব্যবহার করতে পারবেন পথচলতি সাধারণ নারীরাও। এর জন্য শহরের জনবহুল এলাকায় এ ভ্রাম্যমাণ গাড়ি রাখার পরিকল্পনা রয়েছে লালবাজারের কর্তাদের।

তবে শুধু ভ্রাম্যমাণ শৌচাগার ভ্যানই নয়। লালবাজার তরফে জানা যায়, ডিউটিরত নারী পুলিশ কর্মীদের পোশাক বদলের জন্য কেনা হচ্ছে ১০টি ভ্রাম্যমাণ পোশাক বদল ভ্যানও। সেগুলো শহরের বিভিন্ন রাস্তায় ঘুরে বেড়াবে। এতে দিনভর ডিউটিতে থাকা নারী পুলিশ কর্মীদের কখনও পোশাক বদলের দরকার হলে, তারা ওই গাড়ি ব্যবহার করতে পারবেন।

এ দু’ধরনের ২৮টি গাড়ির জন্য খরচ হচ্ছে প্রায় নয় কোটি রুপি। নারী পুলিশ কর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ নারীদের জন্যও আধুনিক সুযোগ-সুবিধা থাকবে সেখানে। প্রতিটি গাড়ির দেখভালের জন্য একজন করে নারী পুলিশ কর্মী থাকবেন।

কলকাতা পুলিশের এক নারী পুলিশ কর্মী জানান, শহরের একাধিক জায়গায় সুলভ শৌচালয় থাকলেও ডিউটি চলাকালে অনেক জায়গাতেই কাছাকাছি শৌচাগার সামনে পাওয়া সব সময় সম্ভব হয়ে ওঠে না। ফলে ওই অবস্থায় কী করবেন, কোথায় যাবেন, সেসব ভেবে মুশকিলে পড়েন। ভ্রাম্যমাণ পোশাক বদল ভ্যান ও ভ্রাম্যমাণ শৌচাগার ভ্যান চালু হলে তারা অনেকটাই চিন্তামুক্ত হয়ে কাজ করতে পারবেন।

ban/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে