ডেস্ক রিপোর্টঃ র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস্) এর দায়িত্বভার গ্রহন করেছেন কর্ণেল তোফায়েল মোস্তফা সরোয়ার পিএসসি। শনিবার ২৯ জুন বাংলাদেশ পুলিশ র্যাব ফোর্সেস সদর দপ্তর কুর্মিটোলা থেকে প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পিবিএকে এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কর্ণেল তোফায়েল মোস্তফা সরোয়ার পিএসসি, কর্ণেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, বিপিএম, এএফডব্লিউসি, পিএসসি এর ’লাভিষিক্ত হলেন। কর্ণেল তোফায়েল মোস্তফা সরোয়ার ডেপুটি কন্টিনজেন্ট কমান্ডার ব্যানব্যাট-৫, মালী (MINUSMA) জাতিসংঘ মিশনে সাফল্যের সহিত দায়িত্ব পালন শেষে সদ্য পদোন্নতি প্রাপ্ত হয়ে প্রেষণে র্যাব ফোর্সেসে যোগদান করেন।
কর্ণেল তোফায়েল গত ১৯ ডিসেম্বর ১৯৯৪ তারিখে ৩১তম বিএমএ লং কোর্সের সাথে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পদাতিক কোরে কমিশন লাভ করেন। তিনি সেনাবাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট ও সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ পদসহ একটি পদাতিক ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক এর দায়িত্ব পালন করেন। তিনি একটি পদাতিক ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া ডিজিএফআই সদর দপ্তর, জিএসও-১ এবং একটি পদাতিক ব্রিগেডে জিএসও-২ (ইন্ট) এর দায়িত্ব পালন করেন। কর্ণেল তোফায়েল এর সেনাবাহিনীর বিভিন্ন গোয়েন্দা ইউনিট ও সংস্থায় গুরুত্বপূর্ণ পদে দীর্ঘ ১১ বৎসর চাকুরির অভিজ্ঞতা রয়েছে। তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামে অবৈধ অস্ত্র ও মাদক বিরোধী অভিযানে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। তিনি ব্যানব্যাট-৪, লাইবেরিয়া (UNMIL) এবং ব্যানব্যাট-৫, মালী (MINUSMA) জাতিসংঘ মিশনে কর্মরত ছিলেন।
কর্ণেল তোফায়েল দেশ ও বিদেশে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উপর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে গোয়েন্দা কোর্স এবং জার্মান হতে জাতিসংঘ মিলিটারি অবজারভার কোর্স সম্পন্ন করেন। এছাড়া তিনি সিয়েরা লিওন, ইউকে, ফ্রান্স, ইতালি, বেলজিয়াম, আইভোরিকোস্ট, মালয়েশিয়া, হল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, ভারত এবং ইউএসএ হতে প্রশিক্ষন ও অন্যান্য সরকারী কর্তব্যে গমন করেন।
কর্ণেল তোফায়েল ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড এন্ড ষ্টাফ কলেজ (ডিএসসিএসসি), মিরপুর হতে আর্মি ষ্টাফ কোর্স, পিএসসি ডিগ্রী লাভ করেন। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি) হতে মাষ্টার্স ইন ডিফেন্স ষ্ট্যাডিস ডিগ্রী লাভ করেন।
তিনি সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পরিসরের কমান্ড ও ষ্টাফ অভিজ্ঞতা সম্পন্ন একজন চৌকস অফিসার। চাকুরি ক্ষেত্রে পারদর্শিতা ও উৎকর্ষতার জন্য তিনি দুই’বার সেনাবাহিনী প্রধানের প্রশংসাপত্র প্রাপ্ত হন। তিনি কর্মক্ষেত্রে অত্যন্ত সততা, পেশাদারিত্ব, বিচক্ষণতার সাথে দায়িত্ব পালন করে সুনাম অর্জন করে আসছেন।
পিবিএ/হক
