গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ২৮ হাজার ৪৬১ জনের।একই সময়ে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছেন ১২ হাজার ১৯৩ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮ লাখ ২৪ হাজার ১৮০ জন।

বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গ বিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন চার হাজার ২০৩ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৭৫ হাজার ১৩৭ জন। সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮৬৭টি ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ৪৪ হাজার ৩০৮টি এবং নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৪৪ হাজার ৪৫১টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে এক কোটি ২৫ লাখ ৬৮ হাজার ২২৬টি।

এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ২৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৫১ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৬ দশমিক ৩৫ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৬ শতাংশ।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৩৬ জনের মধ্যে ১৭ জন পুরুষ এবং ১৯ জন নারী। মৃত ৩৬ জনের মধ্যে রয়েছেন এক থেকে ১০ বছরের মধ্যে একজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে দুইজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে চারজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে সাতজন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে নয়জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে নয়জন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে চারজন।

এতে আরও বলা হয়, মৃত ৩৬ জনের মধ্যে রয়েছেন ঢাকা বিভাগের ১৩ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের পাঁচজন, রাজশাহী বিভাগের ছয়জন, খুলনা বিভাগের সাতজন, বরিশাল বিভাগের তিনজন, সিলেট বিভাগের একজন এবং ময়মনসিংহ বিভাগের একজন। মৃত ৩৬ জনের মধ্যে ৩০ জন সরকারি হাসপাতালে এবং পাঁচজন বেসরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন এবং একজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়।

এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন দুই হাজার ৩৮৬ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৮৩৯ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন চার লাখ ২০ হাজার ৬৮৫ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন তিন লাখ ৬২ হাজার ৯৪২ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৫৭ হাজার ৭৪৩ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে।

ban/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে