গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ২৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ২৩ হাজার ৩৯৮ জনের।নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১০ হাজার ৪২০ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ৮৬ হাজার ৭৪২ জন। মৃত ২৩৭ জনের মধ্যে পুরুষ ১৩৪ জন ও ১০৩ জন নারী।   

বুধবার (১১ আগস্ট) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাছিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গ বিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১৩ হাজার ৩১৩ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১২ লাখ ৪৮ হাজার ৭৫ জন। সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭০৮টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১৩৩টি, জিন এক্সপার্ট ৫৩টি, র্যাপিড অ্যান্টিজেন ৫২২টি। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ৪৪ হাজার আটটি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৪৪ হাজার ৪৩০টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৮২ লাখ ৪৫ হাজার ৪৭১টি।

এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ২৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৮০ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯০ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৬৯ শতাংশ।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ২৩৭ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে রয়েছেন ১০৫ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৫৪ জন, রাজশাহী বিভাগে ১০ জন, খুলনা বিভাগে ২০ জন, বরিশাল বিভাগে আট জন, সিলেট বিভাগে ২৩ জন, রংপুর বিভাগে ছয় জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ১১ জন। এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ১৭৪ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ৬০ জন এবং বাড়িতে তিন জন মারা যান।

মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, শূন্য থেকে ১০ বছরের মধ্যে একজন, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে দুইজন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে চার জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১৪ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ২৪ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৪৬ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ৮৪ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ৪৫ জন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে ১৫ জন এবং ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে দুই জন রয়েছেন।  

এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন দুই হাজার ৮৬৫ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন চার হাজার ৭৭১ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন তিন লাখ ৩৪ হাজার ২৪৪ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন দুই লাখ ৪৭ হাজার ৭৪২ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৮৬ হাজার ৫০২ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে।

ban/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে