ডেস্ক রিপোর্টঃ রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে পবিত্র ঈদুল ফিতরে ঘরমুখো মানুষের জন্য রেলওয়ের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। বুধবার (২২ মে) সকাল ৯টায় রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে টিকিট বিক্রি শুরু হয়।

টিকিট প্রত্যাশীদের রাতভর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে জেগে থাকা মানুষের অপেক্ষার অবসান হলো। কাঙ্খিত টিকিট পেতে মঙ্গলবার (২১ মে) রাত ১০টা থেকেই স্টেশনে অবস্থান নেন উত্তরবঙ্গ ও পশ্চিমাঞ্চলগামী যাত্রীরা।

প্রথমবারের মতো এবার অঞ্চল ভেদে ভিন্ন পাঁচ জায়গায় টিকিট বিক্রি করায় দেশের সবচেয়ে বড় রেলওয়ে স্টেশন কমলাপুরের চিরচেনা রূপ নেই। এবার কমলাপুরে টিকিট কিনতে এসেছেন শুধু রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের যাত্রীরা।

কমলাপুরে সব ধরনের বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে তৎপর রয়েছে পুলিশ, আনসার ও রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী। টিকিট কিনতে জাতীয় পরিচয়পত্র আবশ্যিক হওয়ায় এবার কিছুটা হলেও টিকিট কালোবাজারিদের দৌরাত্ম্য কমেছে।

আজ দেওয়া হবে ৩১ মে’র টিকিট। একজন যাত্রী একসঙ্গে সর্বোচ্চ চারটি টিকিট কিনতে পারছেন। বুধবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত টিকিট বিক্রি চলবে।

কমলাপুর ছাড়াও বিমানবন্দর স্টেশন থেকে চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীগামী সব আন্তনগর ট্রেন, তেজগাঁও স্টেশন থেকে ময়মনসিংহ ও জামালপুরগামী সব আন্তনগর ট্রেন, বনানী স্টেশন থেকে নেত্রকোনাগামী মোহনগঞ্জ ও হাওড় এক্সপ্রেস ট্রেন এবং ফুলবাড়িয়া (পুরাতন রেলভবন) থেকে সিলেট ও কিশোরগঞ্জগামী সব আন্তনগর ট্রেনের টিকিট বিক্রি একই সময়ে শুরু হয়েছে।

রেলওয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২৩ মে দেওয়া হবে ১ জুনের টিকিট, ২৪ মে দেওয়া হবে ২ জুনের টিকিট, ২৫ মে দেওয়া হবে ৩ জুনের টিকিট এবং ২৬ মে দেওয়া হবে ৪ জুনের টিকিট।

ফেরত যাত্রীদের জন্য ২৯ মে দেওয়া হবে ৭ জুনের টিকিট, একইভাবে ৩০ ও ৩১ মে এবং ১ ও ২ জুন দেওয়া হবে যথাক্রমে ৮, ৯, ১০ ও ১১ জুনের টিকিট।

রেল সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন ৭০ থেকে ৭২ হাজার টিকিট বিক্রি করবে বাংলাদেশ রেলওয়ে। সেই হিসাবে ঈদের পাঁচ দিনে তিন লাখ ৫০ হাজার টিকিট বিক্রি করা হবে। ৯৬টি আন্তনগর ট্রেনের পাশাপাশি আট জোড়া বিশেষ ট্রেনও নামানো হবে। পবিত্র ঈদুল ফিতরে ঘরমুখো মানুষের জন্য রেলওয়ের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে।

পিবিএ/জেডআই

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে