মুখলেছ উদ্দিন শাহিন, ঢাকা থেকেঃ সিপিবিএমএল এর সাধারণ সম্পাদক কমরেড বদরুল আলমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন  সিপিবিএমএল এর পলিটব্যুরো সদস্য কমরেড মুখলেছ উদ্দিন শাহিন, জায়েদ ইকবাল খান, কেন্দ্রীয় সদস্য একেএম শহিদুল আলম ফারুক, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ঢাকা মহানগর সভাপতি কমরেড আবুল হোসাইন, বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এএএম ফয়েজ হোসেন, বাংলাদেশ ভূমিহীন সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুবল সরকার, রেডিমেড গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সভানেত্রী লাভলী ইয়াসমীন, বাংলাদেশ গার্মেন্টস এন্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি রফিকুল ইসলাম সুজন, মাদারল্যান্ড গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আল আমিন, বাংলাদেশ ভাসমান নারী শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাহানারা বেগম,  বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনের নেতা শাহাবুদ্দীন মাতুব্বর, বাংলাদেশ কিষাণী সভার নেত্রী রেহেনা বেগম প্রমূখ।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, “১৯৮৯ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর দুনিয়ার কমিউনিস্ট আন্দোলনে ভাটার টান শুরু হয়। তবে ঐ ঘটনা সারা দুনিয়াকে নতুন করে ভাবনার সুযোগ করে দেয়। সেরকম এক প্রেক্ষাপটে ল্যাটিন আমেরিকারসহ পৃথিবীর দেশে দেশে আজ এক নবজাগরণ সৃষ্টি  হয়েছে। শ্রমিক শ্রেণীর রাজনৈতিক দল দেশে দেশে ক্ষমতায় এসে মানুষের মনে নতুন আশার সঞ্চার করছে।”

নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, “পুঁজিবাদী ব্যবস্থা বৈজ্ঞানিকভাবে চিরস্থায়ী নয়। শ্রমিকশ্রেণীর বিপ্লবী লড়াই-সংগ্রামের কাছে সে পরাস্ত হতে বাধ্য।”

তাঁরা বলেন, “সোভিয়েত ব্যবস্থার পতনের পর বাংলাদেশেও শ্রমিকশ্রেণী হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। এ অবস্থা হতে উত্তরণের একটাই উপায় তা হচ্ছে কমিউনিস্ট আন্দোলনকে জোরদার করা। শ্রমিকশ্রেণীকে মার্কসবাদের নতুন দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে উজ্জীবিত করা। বাংলাদেশের বাস্তবতায় বুর্জোয়া আধিপত্যের বিপরীতে শ্রমিক-কৃষক-মেহনতী মানুষের পাল্টা আধিপত্য কায়েম করতে হবে।

তাঁরা আরো বলেন, প্রতিক্রিয়াশীল শক্তিকে পরাস্ত করে শ্রমিক আন্দোলনকে বিকশিত করার উর্বর ক্ষেত্র বাংলাদেশ। আজকের সময় কমরেড আবদুস সাত্তার খানের মত তৃনমূলে কাজ করার মত কমিউনিস্ট নেতার ভিষণ প্রয়োজন ছিল।”

MUS/ পলিটব্যুরো সদস্য, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি- এমএল

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে