untitled

রাজিউল ইসলাম স্বপননারায়নগঞ্জ প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ নদী মাতৃকদেশ হলেও ইতিহাস, ঐতিহ্য বহন করে চলেছে নারায়নগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে বন্দর ঘাট।শহর এবং বন্দরকে যুক্ত করেছে এই ঘাট।ব্যতিক্রম কোন সড়ক না থাকায় একমাত্র চলাচলের পথ নৌকা।নৌকা একধরনের ইঞ্জিনবিহীন জলযান।পৃথীবির অনেক দেশে নৌকা ক্রীড়া (নৌকা বাইচ) এবং প্রমোদ ভ্রমনের জন্য ব্যবহ্রত হলেও বাংলাদেশ সহ বিশ্বের অনেক দেশে নৌকা এখন স্থানীয় যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম।নারায়নগঞ্জ -৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নাসিম ওসমানের কাছে অত্র এলাকার লোকজনের দাবি ছিল একটা সেতুর।কিন্তুু তার মৃত্যু হলে, সেই আসনের হাল ধরে তার ভাই সেলিম ওসমান(বর্তমান সংসদ সদস্য)।তথ্য নিয়ে জানা গেছে,তিনি নির্বাচিত হওয়ার পর ইঞ্জিন চালিত ট্রলার জনসাধারনের জন্য ফ্রি করে দেন এবং এখান থেকে ঘাটের ইজারা বাবদ সরকারকে যে টাকা দেওয়া হয় তা তিনি নিজে দিবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন এবং বাস্তবায়ন করেন।এছাড়া যাত্রীদের চলাচলের জন্য ট্রলারের তেল,ড্রাইভার খরচ তিনি নিজে দিবেন বলে ঘোষনা দেন।জনসাধারনের জন্য তিনটি ট্রলার উন্মুক্ত থাকলেও যাত্রী সেবা প্রদানের জন্য রয়েছে শতাধিক ছোট ছোট ডিঙ্গী নৌকাগুলো।কিনারে যখন নৌকাগুলো ভিড়ে তখন মন ভরে যান প্রতিটি মানুষের এই অপূর্বদূশ্য দেখে।তেমনি আলাউদ্দিন নামক এক যাত্রির সাথে কথা বললে তিনি জানান,আমরা ইচ্ছা করলে ট্রলারে যেতে পারতার কিন্তুু যাইনি কারণ,যদিও পথটি বেশী দূর নয়,নৌকা গুলো যখন দোলা দেয় আমাকে খুব সুন্দর লাগে।যেহেতু ভাড়া বেশী নয় নয় তাই নৌকা বেঁচে নিয়াছি।পরে স্থানীয় এক মাঝির সাথে কথা বললে তিনি জানান,আগে ইজারাদারদের মাধ্যমে ঘাট ডাক হত।সারাদিন যা কাজ করতাম তার অর্ধেক মহাজন এবং ইজারাদারদের দেওয়া লাগত।এখন সেলিম ওসমান এমপি ইঞ্জিনচালিন ট্রলার ফ্রি করায়,আমদের নৌকাতে লোকজন অনেক ওঠে।নৌকার ভাড়ার কথা বললে তিনি জানান,আমরা একপাশে যাওয়া পাঁচ টাকা,আবার আশা পাঁচ টাকা।এছাড়া তিনি জানান,আগের চেয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে এখন খুব শান্তিতে আছে।সারাদিন কি পরিমান লোক যাতায়াত করে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান,প্রায় ৭৫-৮০ হাজার হবে।এও বলেন যাদের ভাল লাকে ট্রলারে যায়,না লাগলে পাঁচ টাকার বিনিময়ে আমাদের নৌকাতে যান।তিনি বলেন,আমাদের বন্দরের মত বাংলাদেশে কোথাওএই ডিঙ্গী নৌকার সমাহার নেই।আমাদের বন্দরের নৌকা চুরি হলে,সহজেই তা চেনা যায়।এছাড়া তিনি আশা ব্যক্ত করে বলেন,এখানে পর্যটন নগরী হলে ভ্রমন পিয়াসু লোকদের সমাগম বেশী হত।এছাড়া লক্ষ্য করা যায়,বিভিন্ন ইস্কুর, কলেজের ছেলে মেয়েরা এবং বিভিন্ন বয়সের লোকদের সমাগম।কেউ ইচ্ছামত ছবি তুলছে,আবার কেউ শখে নদী পারাপার হচ্ছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে