কাওছার হামিদ, কিশোরগঞ্জ, নীলফামারী প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলা মাগুড়া ইউনিয়নে এ্যাডভোকেট আনিছুল আরেফিন চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদুল ইসলামে বিরুদ্ধে দূর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানাগেছে গত ২৫ মে ২০২২ ইং তারিখে দৈনিক ঢাকা প্রতিদিন ও নীলফামারী বার্তা পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। সেখানে উল্লেখ করেন আয়া, নিরাপত্তাকর্মী, নৈশ প্রহরী, অফিস সহায়ক পদে লোক নিয়োগ দেয়া হবে। যে পত্রিকা রংপুর বিভাগে সার্কুলেশন নাই এবং সেই পত্রিকার মাধ্যমে কিভাবে সাধারন মানুষ জানতে পারবে অত্র প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়েছে। সরকারী নীতিমালা তোয়াক্কা না করে কয়েকজন প্রার্থী সাজিয়ে গোপনে পরিক্ষা নিয়ে মোটা অংকের টাকা বিনিময়েতার মনমতো প্রার্থীকেনিয়োগ প্রদান করেন প্রধান শিক্ষক ফরিদুল ইসলাম।

সরকারি আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে তার মনমতো আইন দিয়ে চলছে সবকিছু। সরকারের চোখে ধুলা দিয়ে অত্র বিদ্যালয়ে এমপিওভুক্ত আবেদনের সময় ৬স্ট শ্রেণীতে ৯০জন,৭ম শ্রেণী ৭৩জন,৮ম শ্রেণী ৬০ জন,৯ম শ্রেণী ৫০ জন, ১০ম শ্রেণী ৬৫ জন মোট ৩৩৮ জন শিক্ষার্থী সংখ্যা দেখানো হয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখাগেছে প্রকৃত পক্ষে ঐ স্কুলের ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ৫০ জনেরও কম। এলাকাবাসী জানান স্কুলে ওরাই সভাপতি ওরাই প্রধান শিক্ষক ওরাই সব। নিয়োগের বিষয়ে কিছু জানিনা। কখন তারা পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করছে সেটাও জানিনা। চুপেচাপে পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করছে,কোন পত্রিকায় সেটাও ওমরা ছাড়া কাও জানেনা। পরে শুনের পাই টাকা নিয়া চাকুরী দিছে। ঐ এলাকার এক কৃষক বলেন, টাকা ছাড়া চাকরী নাই।মুই গরীব মানুষ দিনে আনং দিনে খাং। কোন রকম সংসার চলে। মোর একনা সন্তানোক ম্যাট্টিক পাশ করাছুং। টাকার অভাবে আর পড়ার পাং নাই। শুনের পানুং ঐ স্কুলত নাকি চাকরী দিবে তাও টাকা দিয়া কোনটে পাইম বাহে টাকা কনতো। হামার গরীবের চাকরী হইবি না।টাকা যার চাকরী তার।এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক ফরিদুল ইসলামের মোবাইলে একাধিক বার কল দিলে তাকে পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এটি এম নুরল আমিন শাহ বলেন সারা বাংলাদেশ যেভাবে নিয়োগ হচ্ছে সেভাবে নিয়োগ হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা অফিসার শফিকুল ইসলাম বলেন তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে