ডেস্ক রিপোর্ট : উইকেট এতটা ব্যাটিং সহায়ক হবে সেটা বুঝতে পারেনি জিম্বাবুয়েও। শুধু সকালের উইকেটে আদ্রতা থাকায় প্রথম ঘণ্টায় খনিকটা সহায়তা পেয়েছেন পেসাররা।

পিচের আচরণ বুঝে ব্যাটিং করার পরিকল্পনাতেও শুরুতে উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। এরপর ওপেনার প্রিন্স মাসভাউরের হাফ সেঞ্চুরি (৬৪) ও অধিনায়ক ক্রেগ আরভিনের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে (১০৭) শনিবার মিরপুর টেস্টের প্রথমদিনে ছয় উইকেটে ২২৮ রান তুলেছে জিম্বাবুয়ে। প্রথমদিনে কোনো দলকেই পরিষ্কার এগিয়ে রাখা যাচ্ছে না।

তবে সফরের একমাত্র টেস্টে শনিবার শেষবেলায় আরভিনকে আউট করায় স্বস্তি দিয়েছে স্বাগতিকদের। নাঈম হাসানের চার উইকেট ও আবু জায়েদের দুই উইকেটে দিনটা পুরোপুরি জিম্বাবুয়ের হতে দেয়নি বাংলাদেশ। উল্টো শেষ বিকেলে আরভিনকে ফিরিয়ে একটু হলেও এগিয়ে থাকছে বাংলাদেশ।

অল-স্পিনার আক্রমণ থেকে সরে এসেছে বাংলাদেশ। দুই পেসার ও দুই স্পিনার নিয়ে একাদশ সাজায় টিম ম্যানেজমেন্ট। অভিষেকের পর এই প্রথম ঘরের মাটিতে টেস্ট একাদশে সুযোগ হয়নি ইনজুরি থেকে ফেরা মেহেদী হাসান মিরাজের। উইকেটে খুব বেশি সহায়তা না থাকলেও দিনজুড়েই দারুণ বোলিং করেছেন নাঈম।

জিম্বাবুয়ে কাল টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। প্রথমে রান নেয়ারই চেষ্টা করেনি তারা। তারপরও কেভিন কাসুজাকে মাত্র দুই রানে ফিরিয়ে দেন আবু জায়েদ। চাপ আরও বাড়তে থাকে। প্রথম ১১ ওভারে তাদের রান ছিল নয়! তবে মাসভাউরে ও আরভিনের চোয়ালবদ্ধ লড়াইয়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেয় সফরকারীরা।

দ্বিতীয় উইকেটে তারা গড়েন ১১১ রানের জুটি। প্রথম সেশনে এক উইকেট হারানো জিম্বাবুয়ে দ্বিতীয় সেশনের শুরুতে হারায় মাসভাউরেকে। ফিরতি ক্যাচ নিয়ে তাকে ফেরান অফ-স্পিনার নাঈম হাসান। ১৫২ বলে করেন ৬৪ রান। নতুন ব্যাটসম্যান ব্রেন্ডন টেলরকেও বেশি সময় টিকতে দেননি নাঈম।

দ্বিতীয় সেশনে দুই উইকেট হারানো জিম্বাবুয়ে তৃতীয় সেশনেও সতর্ক ব্যাটিং করেছে। থিতু হওয়ার চেষ্টা করলেও নাঈমের বলে সিকান্দার রাজাকে দারুণ এক স্টাম্পিংয়ে ফেরান লিটন। দলীয় ১৯৯ রানে মারুমাকে আউট করেন আবু জায়েদ। আরভিন সেঞ্চুরি করে তখনও বাংলাদেশের ওপর চোখ রাঙাচ্ছিলেন।

কিন্তু দিনের খেলা শেষ হওয়ার এক ওভার আগে স্বাগতিক শিবিরে স্বস্তি ফেরান নাঈম। তার অসাধারণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড হন আরভিন। দিনের নবম ওভারে মাঠে নামা জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক ফেরেন ৮৯তম ওভারে। মাটি কামড়ে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেয়া আরভিন ২২৭ বলে ১৩ চারে করেন ১০৭ রান। টেস্টে এটি তার তৃতীয় সেঞ্চুরি।

প্রথমদিনে নাঈম বোলিং করেছেন ৩৬ ওভার। এর মধ্যে একটানা ৩২ ওভারের স্পেল রয়েছে। তাইজুল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সব সময়ই দুর্দান্ত। তবে তাদের বিপক্ষে নিজের ষষ্ঠ ম্যাচের প্রথমদিনটা তাইজুলের বোলিং ছিল একদমই নির্বিষ। সহজেই তাকে খেলেছে সফরকারী দলের ব্যাটসম্যানরা। ২১ ওভার বোলিং করেও উইকেট শূন্য।

পেসার ইবাদত উইকেট না পেলেও লাইনে বল করে প্রতিপক্ষকে চাপে রেখেছিলেন। মেহেদী হাসান মিরাজ একাদশে না থাকলেও দায়িত্বটা ভালোভাবে পালন করেছেন নাঈম। তার চার উইকেটেই ভালো অবস্থানে স্বাগতিকরা। আজ দিনের শুরুতে সফরকারীদের অলআউট করাই নাঈমদের লক্ষ্য।

J/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে