ডেস্ক রিপোর্টঃ উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন গতকাল রোববার স্থানীয় নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন। দেশব্যাপী অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে প্রায় শতভাগ ভোট পারমাণবিক ক্ষমতাধর রাষ্ট্রটির পক্ষে পড়েছে বলে দাবি করা হয়। খবর এএফপি’র।
প্রার্থীদের মধ্যে কোন প্রতিদ্বন্দ্বিতা না থাকলেও এটি মূলত দেশটির একটি রাজনৈতিক রীতি। পর্যবেক্ষরা বলছেন, এসব নির্বাচনের মধ্যদিয়ে কর্তৃপক্ষ জনপ্রিয়তা যাচাই করা হয়।
এ বছরের স্থানীয় নির্বাচনে ৯৯.৯৮ শতাংশ ভোট পড়েছে। যা ২০১৫ সালের স্থানীয় নির্বাচনের চেয়ে ০.০১ শতাংশ বেশি।
গতকাল উত্তর কোরিয়ার কেন্দ্রিয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ পরিবেশিত খবরে বলা হয়, যারা বিদেশ সফরে রয়েছেন বা সমুদ্রে কাজ করছেন কেবলমাত্র তারাই এ নির্বাচনে ভোট দিতে পারেননি। বার্তা সংস্থাটি জানায়, যারা বৃদ্ধ বা অসুস্থ তারাও মোবাইল ব্যালট বক্সে তাদের ভোট দিয়েছেন।
আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকে বিচ্ছিন্ন দেশটির প্রাদেশিক, নগর ও কাউন্টি প্রতিনিধি নির্বাচনে প্রতি চার বছর পর নির্বাচন হয়। কার্যত এক দলীয় এ রাষ্ট্রের ৯৯ শতাংশ ভোটার এসব নির্বাচনে অংশ নেন এবং তারা তাদের একক প্রার্থীর পক্ষ্যে ‘হ্যাঁ’ ভোট দেন। সরকারের প্রতিনিধিরা ‘কোরীয়-ধাচের সমাজতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থাকে মহিমান্বিত করতে তাদের ‘পক্ষপাতহীন ঐক্যের’ একটি উদাহরণ হিসেবে সর্বোচ্চ ভোট পড়ার বিষয়টির ওপর নজর রাখেন।
কেসিএনএ জানায়, কিম নর্থ হামগিয়ং প্রদেশে একটি ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেন এবং তিনি এ অঞ্চলের কাউন্টি পরিষদ পরিচালনায় জু সং ও জং সং সিক নামের দুই প্রার্থীকে ভোট দেন।
তিনি তাদের দায়িত্ব পুরোপুরি পালনের মাধ্যমে জনগণের বিশ্বাসী সেবক হতে তাদেরকে উৎসাহিত করেন।
সুপ্রিম পিপলস অ্যাসেম্বলি হিসেবে পরিচিত রাবার-স্ট্যাম্প আইনসভার জন্য ২০১৪ সালে কিম নিজেই ভোটে দাঁড়ান এবং তিনি তার পক্ষে শতভাগ ভোট নিশ্চিত করতে সক্ষম হন।

বাসস

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে