Islami-University

বিডি নীয়ালা নিউজ(১১ই এপ্রিল১৬)-অনলাইন প্রতিবেদনঃ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ঢাকাস্থ রেস্ট হাউসে জায়গা হয় না বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তাদের। রেস্ট হাউসটি দখলে নিয়েছেন বিভিন্ন পরিবহনের ড্রাইভার-হেলপাররা। ফলে অফিসিয়াল কাজে ঢাকা গিয়ে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের বিভিন্ন হোটেল বা স্বজনের বাসায় উঠতে হয়।

জানা গেছে, লাহুড়ি নামের একজন দুর্নীতিবাজ কর্মচারি টাকার বিনিময়ে কুষ্টিয়া থেকে ঢাকাগামী বিভিন্ন পরিবহনের ড্রাইভারদের কাছে রেস্ট হাউসটি ভাড়া দিচ্ছেন।

সূত্র জানায়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তাদের অফিসিয়াল কাজের সুবিধার্থে ঢাকার মিরপুরে ৪তলা একটি রেস্ট হাউস তৈরি করা হয়। এর ৪র্থ তলায় মাদ্রাসার কার্যক্রম চলে। আর বাকি তিন তলা রেস্ট হাউস হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এখানে প্রায় ২১ টি সিট আছে। নিয়মানুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তারা শুধুমাত্র অফিসিয়াল কাজে এসে এখানে থাকতে পারবেন। আর প্রতিদিন ৫০ টাকা হারে সিট ভাড়া দিতে হবে। বাইরের কেউ থাকতে পারবে না।

তবে অভিযোগ রয়েছে, টাকার বিনিময়ে কুষ্টিয়া থেকে ঢাকাগামী বিভিন্ন পরিবহনের ড্রাইভারদের রেস্ট হাউসে রাখা হচ্ছে। বিশেষ করে লালন পরিবহনের ড্রাইভার-হেলপার লাহুড়ি নামের ওই কর্মচারির মাধ্যমে প্রায় নিয়মিত রেস্ট হাউসে রাত যাপন করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক-কর্মকর্তা অভিযোগ করেন, অফিসিয়াল কাজে ঢাকা যাওয়ার আগে ফোনে সিট বুকিং দেওয়ার কথা বললে রেস্ট হাউজের কর্মচারিরা জানিয়ে দেয় সিট ফাঁকা নেই। ফলে সিট না পেয়ে বাইরের হোটেলগুলোতে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ করতে হয়। আবার অনেক প্রভাবশালী শিক্ষক তাদের আত্মীয় ও পরিচিতদের নিয়ে সেখানে রাখেন, যা সম্পূর্ণ অবৈধ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মেহেদী ও স্বপন নামের দুই সহকারি রেজিস্ট্রারের তত্ত্বাবধানে ইবির ঢাকাস্থ রেস্ট হাউস পরিচালিত হয়। আর এটা দেখাশুনা করেন লাহুড়ি, আকিদুল ও জিলানী নামের তিন কর্মচারি। তবে লাহুড়ি নামের কর্মচারি বিশ্ববিদ্যালয় এস্টেট শাখা ও রেস্ট হাউসের সাবেক এক কর্মকর্তার খালাতো ভাই হওয়ায় সেখানে সে সর্বময় ক্ষমতাধর।

এদিকে রেস্ট হাউসটি শুধু বহিরাগতদের কাছে ভাড়াই নয়, এখানে বিভিন্ন অনৈতিক কার্যক্রম হয়ে থাকে বলেও অভিযোগ রয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় থিওলজি অনুষদের এক সিনিয়র শিক্ষক বলেন, রেস্ট হাউসে খাওয়ার সময় অনেক অপরিচিতদের দেখা যায়। মনে হয় ক্যাম্পাসের সাথে তাদের সংশ্লিষ্টতা নেই। রেস্ট হাউসের কর্মচারিদের দাবি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষকদের অনুরোধে বিভিন্ন সময়ে তাদের পরিচিতদের সেখানে রাখতে হয়। তাছাড়া বাইরের কাউকে রাখা হয় না।

এ ব্যাপারে রেস্ট হাউসের কর্মচারি লাহুড়ির সাথে যোগাযোগ করতে তার মোবাইল কয়েকবার চেষ্টা করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট শাখার প্রধান ও রেস্ট হাউসের পরিচালক হারুন অর রশীদ বলেন, ”আমি নতুন দায়িত্ব পেয়েছি। আর আমার কাছে কেউ অভিযোগ করেনি। তবে এর সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

সূত্রঃ বিডি-প্রতিদিন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে