আদালতের মাধ্যমে বিরোধীয় জমির বিরোধ নিষ্পত্তি হয়েছে। কিন্তু ওই জমিকে কেন্দ্র করে ইদ্রিস আলী নামে এক প্রতিবেশী প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে নতুন কৌশল অবলম্বন করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান।

মুক্তিযোদ্ধার খেতাব ব্যবহার করে প্রতিবেশী আওয়ামী লীগ নেতার পরিবারকে রাজাকার আখ্যা দিয়ে হেনস্থা করতে অপপ্রচার চালাচ্ছেন তিনি।  

সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে অভিযুক্ত ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা প্রতিপক্ষের মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন।  

শহরের গোলাহাটস্থ নিজ বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মো. ইদ্রিস আলীর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তার বড় ছেলে ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক কামাল আহমেদ।  

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, প্রতিবেশী বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান এবং তাদের বাড়ির সীমানায় ফাঁকা জায়গায় রয়েছে। গত ২০১০ সালে মতিউর রহমানের স্ত্রী কোহিনুর বেগম ওই জায়গা নিজের দাবি করে আদালতে মামলা করেন। পরে ২০১৮ সালে জুলাই মাসে আদালতের মাধ্যমে আপসনামা করা হয়। আপসনামায় ওই জায়গা উভয়পক্ষ ব্যবহার করবে বলে সম্মতি জানানো হয়। অথচ বীর মুক্তিযোদ্ধা ওই আপসনামা অমান্য করে ওই জমি নিজের দাবি করে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। এর আগে ২০০৪ সালে ওই বাড়ির (ইদ্রিস আলীর) পূর্বদিকের গলিপথ নিয়ে তিনি এলাকার ১৭ জন নিরীহ লোকের নামে মামলা করেন। ওই মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় গত ২০১১ সালের ৭ জুলাই আদালত তাদের বেকসুর খালাস দেন। তারপরও তিনি বিভিন্নভাবে হয়রানির উদ্দেশে ষড়যন্ত্র করে আসছেন। তিনি মুক্তিযোদ্ধার খেতাব ব্যবহার করে আমাকে রাজাকার আখ্যা দিয়ে জমি দখলের মিথ্যাচার করছেন। অথচ রাজাকারের তালিকায় আমার নাম নেই। প্রতিপক্ষ আমাকে হেনস্থা করতে রাজাকার বানানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে তিনি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেন।

সংবাদ সম্মেলনে সৈয়দপুর ২ নম্বর পৌর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক প্যানেল মেয়র হিটলার চৌধুরী ভলু বলেন, ইদ্রিস আলীর ছেলে কামাল আহমেদ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতা। তাকে রাজাকার বলে অপবাদ ছাড়ানো হচ্ছে। প্রতিপক্ষ মতিউর রহমান বীর মুক্তিযোদ্ধা খেতাব ব্যবহার করে আওয়ামী পরিবারকে অযথা হয়রানি করছেন। প্রতিপক্ষ এ হয়রানি বন্ধ না করলে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ আন্দোলনে নামবে বলে ঘোষণা দেন।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন ডাবলু, ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক চৌধুরী প্রমুখ।

ban/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে