ডেস্ক রিপোর্টঃ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জন করতে হলে বাংলাদেশকে পরিবেশবান্ধব স্যানিটেশন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। বর্তমানে বাংলাদেশ উন্মুক্ত স্থানে মলমূত্র ত্যাগ শতভাগ বন্ধ করতে পারলেও মাত্র ৩২ ভাগ নিরাপদ স্যানিটেশন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে।

অর্থাৎ, বাংলাদেশ নিরাপদ স্যানিটেশন অর্জনে ৬৮ ভাগ পিছিয়ে রয়েছে। এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে স্যানিটেশন খাতের উন্নয়নে দেশের সর্বস্তরের জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে। বুধবার রাজধানীর কাকরাইলে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরে (ডিপিএইচএই) ‘জাতীয় স্যানিটেশন মাস অক্টোবর-২০১৮’র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।

এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান। অন্যদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন ডিপিএইচই’র প্রধান প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান, ডিপিএইচই’র স্যানিটেশন সেক্রেটারিয়েটের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ গোলাম মোক্তাদির, ওয়াটার এইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডাইরেক্টর ডা. মো. খাইরুল ইসলাম, ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি এদোয়ার্ড বেইবেডার।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব রোকসানা কাদের। প্রধান অতিথির বক্তৃতায় স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব ড. জাফর আহমেদ খান বলেন, উন্মুক্ত স্থানে মলমূত্র ত্যাগ বন্ধে বাংলাদেশ শতভাগ সাফল্য অর্জন করেছে।

এখন পর্যন্ত মাত্র ৩২ ভাগ পরিবেশবান্ধব পয়োবর্জ্য ব্যবস্থাপনার সক্ষমতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশকে এসডিজি অর্জন করতে হলে পরিবেশবান্ধব উপায়ে শতভাগ পয়োবর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব রোকসানা কাদের বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ স্যানিটেশনে কাক্সিক্ষত সাফল্য অর্জন করবে। এরপর থেকে বাংলাদেশ আর স্যানিটেশন মাস উদযাপন করবে না।

ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি এদোয়ার্ড বেইবেডার বলেন, ঢাকা ওয়াসার তথ্যমতে, শহরের মাত্র ২০ ভাগ পয়োবর্জ্য অপসারণ করতে পারে তারা। এটা খুবই নাজুক অবস্থা। বাংলাদেশকে এ অবস্থা থেকে উত্তরণ ঘটাতে সর্বস্তরের মানুষকে ভূমিকা রাখতে হবে।

J/N.

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে