বিডি নীয়ালা নিউজ(১৭ই মার্চ১৬)-আন্তর্জাতি প্রতিবেদনঃ যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ম অনুযায়ী, প্রত্যেক প্রার্থী নির্বাচনে যে অনুদান পাবেন, দাতাদের নামসহ সেগুলোর বিস্তারিত তথ্য ফেডারেল ইলেকশন কমিটিকে জানাতে হবে।
ফলে কে কোথায় থেকে কত অনুদান পাচ্ছেন, তা ভোটাররা জানতে পারেন।
হিলারি ক্লিনটনের নির্বাচনী তহবিলের আকার দাঁড়িয়েছে ১৩কোটি ৪ লাখ ৪৩হাজার ৬৩৭ ডলার। এর বেশিরভাগই এসেছে আইনজীবী ও বিভিন্ন আইনি প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে।
চার মিলিয়ন ডলার পেয়েছেন তিনি বাণিজ্যিক ব্যাংক এবং বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে।
বার্নি স্যান্ডার্স এ কারণেই অভিযোগ তুলেছেন, রাজনীতিতে ওয়াল স্ট্রিটের প্রভাব বাড়ছে।
যদিও যে আইনজীবীরা মিসেস ক্লিনটনের তহবিলে অনুদান দিয়েছেন, অন্য রাজনীতিবিদদের তহবিলেও তাদের অনুদান রয়েছে।
বার্নি স্যান্ডার্সের তহবিল দাঁড়িয়েছে ৯ কোটি ৬৩ লাখ ১১ হাজার ৪২৩ ডলারে। তিনি ওয়াল স্ট্রিটের বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর অনুদানের সমালোচনা করে আসছেন। এমনকি টুরিং ফার্মাসিউটিক্যালের সাবেক প্রধানের অনুদান ফিরিয়ে দিয়েছেন।
তার তহবিলের বেশিরভাগই আমেরিকার সাধারণ নাগরিকদের দেয়া ছোট ছোট অনুদান যার একেকটি চাঁদার পরিমাণ ২০০ ডলারেরও নীচে। এমনকি চাকরি নেই, এমন ব্যক্তিদের অনুদানও পেয়েছেন মি. স্যান্ডার্স।
টেড ক্রুজের তহবিল ৫ কোটি ৪৬ লাখ ৬১ হাজার ৫০৬ ডলারের। যদিও তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় খানিকটা পিছিয়ে আছেন, কিন্তু নির্বাচনী তহবিলের আকারে ট্রাম্পের চেয়ে বেশ এগিয়ে।
টেক্সাসের এই সিনেটর বেশিরভাগ অনুদান পেয়েছেন তার স্টেট থেকেই। বিশেষ করে টেক্সাসের তেল, গ্যাস,, আর খামারবাড়ি থেকেই বেশিরভাগ অনুদান এসেছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনী তহবিলের আকার ২ কোটি ৫৫ লাখ ২৬হাজার ৩১৯ ডলারের। এর বেশিরভাগটাই তার নিজের। যদিও এটা ঋণ হিসাবে তিনি নিয়েছেন, যা পরে হয় তার নিজের তহবিল থেকে, অথবা নির্বাচনী তহবিল থেকে শোধ করতে হবে।
তবে স্বাস্থ্য খাত আর আবাসন খাত থেকে তার অনেক অনুদান এসেছে। যদিও সাধারণ নাগরিকদের কাছ থেকে পাওয়া অনুদানের হার খুবই কম।
মি. ট্রাম্প অবশ্য অন্য প্রতিদ্বন্দ্বীদের তুলনায় একটি দিকে এগিয়ে রয়েছেন। মিডিয়া মুঘল হওয়ায় তাকে অন্য প্রার্থীদের মতো টেলিভিশন বিজ্ঞাপনের পিছনে পয়সা খরচ করতে হবে না।
সূত্রঃ বিবিসি বাংলা ।