এম ডি বাবুল: নিহত ভিকটিমের ভাইয়ের বাড়ি এবং তার শ্বশুরালয় একই বাড়িতে অবস্থিত। দীর্ঘদিন ধরে ভিকটিমের সাথে তার চাচাতো ভাই রেজাউল এর বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৭ মে ২০২৩ ইং তারিখ বিকাল অনুমানিক ৪:৩০ মিনিটের দিকে কলাগাছের পাতা কাটার বিষয়কে কেন্দ্র করে ঝগড়ার এক পর্যায়ে ভিকটিমের চাচাতো ভাই রেজাউল, তার স্ত্রী, শ্বাশুড়ী এবং আরও ৩/৪ জন সহযোগীসহ পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে লোহার রড এবং লাঠি নিয়ে ভিকটিমের উপর হামলা করে। আসামীরা লোহার রড এবং লাঠি দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে ভিকটিমের মাথা, বুক এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি আঘাত করে গুরুতর আহত করে। একপর্যায়ে ভিকটিমকে মৃত ভেবে আসামীগণ ঘটনাস্থল হতে পালিয়ে যায়।

পরবর্তীতে ভিকটিমের ভাই এবং আশে পাশের লোকজন গুরুতর আহত ভিকটিমকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত আনুমানিক ৯:৩০ মিনিটের দিকে ভিকটিম মৃত্যু বরণ করেন। উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের ভাই মোহাম্মদ আমিন বাদী হতে চট্টগ্রাম জেলার আনোয়ারা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন যার মামলা নং-২২, তারিখ-১৮ মে ২০২৩ খ্রিঃ, ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০। মামলা দায়েরের পর হতে বর্ণিত আসামীরা আইন শৃংখলা বাহিনীর নিকট হতে গ্রেফতার এড়াতে এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে চলে যায়।

র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সূত্রে জানতে পারে যে, বর্ণিত হত্যা মামলার এজাহারনামীয় প্রধান তিন আসামী চট্টগ্রাম মহানগরীর বন্দর থানাধীন ঈশান মিস্ত্রীর হাট এলাকার একটি ভাড়া বাসায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল গত ২০ মে ২০২৩ ইং তারিখ ৩: ঘটিকায় বর্ণিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে আসামী ১। রেজাউল করিম (৩৫), পিতা-জান মোহাম্মদ, ২। নাসিমা আকতার (৩৪), স্বামী-রেজাউল করিম এবং ৩। ছখিনা খাতুন (৫০), স্বামী-মৃত আবদুস ছোবহান, সর্ব সাং-বৈরাগ, থানা-আনোয়ারা, জেলা-চট্টগ্রামদেরকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা বর্ণিত হত্যা মামলার এজাহার নামীয় প্রধান পলাতক আসামী মর্মে স্বীকার করে।

গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে