এম ডি বাবুল, চট্রগ্রাম প্রতিনিধিঃ ভুক্তভোগী ভিকটিমের বাড়ি কক্সবাজার জেলার চকরিয়া এলাকায়। ভিকটিম চট্টগ্রাম জেলার আনোয়ারা এলাকায় একটি ইন্সুরেন্স কোম্পানীতে চাকুরী করতেন। চাকুরীর সুবাধে তাকে পরিবার হতে দূরে আনোয়ারা এলাকায় বসবাস ও চলাচল করতে হত। গত ২৪ মে ২০২৩ইং তারিখে ভিকটিম তার বাসা হতে মাজার জিয়ারতের উদ্দেশ্যে বের হলে রাত আনুমানিক ১০:টা ৪০ দিকে আনোয়ারা থানাধীন বারশত এলাকা হতে একটি সিএনজিতে উঠেন। সিএনজি চালক আসামী মোঃ নঈম কিছুদূর যাওয়ার পর পথিমধ্যে আসামী আরিফ, ফরহাদ এবং রাজুকে সিএনজিতে নেয়। পরবর্তীতে সিএনজি চালক এবং তার সহযোগী ৩জন ভিকটিমকে একটি পরিত্যাক্ত বিল্ডিং এ নিয়ে গিয়ে রাত আনুমানিক ১১:৩০ মিনিট হতে ভোর ০৫০০ ঘটিকা পর্যন্ত জোরপূর্বক গণধর্ষণ করে।

পরবর্তীতে বর্ণিত ধর্ষকরা ভিকটিমকে সিএনজিতে করে নির্জন জায়গায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ভিকটিম বাদী হয়ে চট্টগ্রাম জেলার আনোয়ারা থানায় বর্ণিত ০৪জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন যার মামলা নং ৩১ তারিখ ২৭ মে ২০২৩ই, ধারা ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধিত ২০০৩) এর ৯(৩)। মামলা দায়েরের পর হতে বর্ণিত গণধর্ষণ মামলার আসামীরা আইন শৃংখলা বাহিনীর নিকট হতে গ্রেফতার এড়াতে এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে চলে যায়।

র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম বর্ণিত গণধর্ষণ মামলার এজাহারনামীয় ধর্ষকদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারী অব্যাহত রাখে। নজরদারীর এক পর্যায়ে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সূত্রে জানতে পারে যে, বর্ণিত ধর্ষণ মামলার এজাহারনামীয় আসামী মোঃ আরিফ চট্টগ্রাম মহানগরীর কোতয়ালী থানাধীন আসকর দিঘীর দক্ষিণ পাড় এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল গত ০৫ জুন ২০২৩ ইং তারিখে বর্ণিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ আরিফ (২৫), পিতা-মোঃ জাফর, সাং-গুনদ্বীপ, থানা-আনোয়ারা, জেলা- চট্টগ্রামকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে সে বর্ণিত গণধর্ষণ মামলার ঘটনার সাথে জড়িত এজাহারনামীয় পলাতক আসামি মর্মে স্বীকার করে।

গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে