গাজীপুর প্রতিনিধিঃ আধিপত্য বিস্তারের যুদ্ধে আতঙ্কে গাজীপুর আধিপত্য বিস্তার ও পেশীশক্তি প্রদর্শনের মহড়ায় আতঙ্কের নগরীতে পরিণত হয়েছে গাজীপুর। জনমনে বিরাজ করছে ভয়। সাধারণ মানুষ সীমাহীন আতঙ্কের মধ্যে দিননিপাত করছেন। এমনকি অভিভাবকেরাও শিশু সন্তানটিকে স্কুলে পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন। কখন কোন মারামারির ভেতরে পরে যায় তার কোমলমতি শিশু সন্তানটি। ভয়ের কারণটাও সঙ্গত। গত ১০-৫-২০১৯ তারিখে ঘটে যাওয়া মারামারির ঘটনাই তার প্রমান। গাজীপুর থানাসংলগ্ন মুক্তমঞ্চের কাছে ঘটেছে এক ভয়াবহ মারামারির ঘটনা। আজিমুদ্দিন কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ও গাজীপুর মহানগরের সাবেক সভাপতি নাহিদ মোড়লকে কুপিয়ে আহত করছে একদল দুর্বৃত্ত। সেসময় কয়েক রাউন্ড গুলির শব্দও শোনা যায়। নাহিদ বর্তমানে রাজধানীর এ্যাপোলো হসপিটালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনার সময় নাহিদের সহযোগী রয়েল নামের একজনও আহত হন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে অভিযুক্ত করা হচ্ছে গাজীপুর মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাসুদ রানা এরশাদ সহ আরও কয়েকজনকে। নাহিদের সহযোগী সাইফুল্লাহ শাওন ও বাধন নামের দুজন এরশাদ সহ আরও কয়েকজনের গ্রেফতার দাবি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, নাহিদ মুক্তমঞ্চ সংলগ্ন একটি সেলুন থেকে চুল কেঁটে বের হয় আনুমানিক রাত ৯ টার দিকে। এসময় দুটি প্রাইভেটকারে আগে থেকে অপেক্ষমান দুর্বৃত্তরা তার উপর ঝাপিয়ে পরে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে উপর্যপুরি আঘাত করে পালিয়ে যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, “আমরা কেন আতঙ্কের মধ্যে দিন কাঁটাবো? ওরা সন্ত্রাসী করবে, ওরা চাঁদাবাজি করবে, আবার ওরাই মারামারি করবে। মাঝখান থেকে আমরা যারা সাধারণ মানুষ তারা আতঙ্কে থাকবো। আমি ঘটনার সময় সেখানে ছিলাম। যদি একটা কোপ আমার গায়ে লাগতো, যদি আমি মরে যেতাম তাহলে তো আমার পরিবার পথে বসতো। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও গাজীপুর প্রশাসনের কাছে বীনিত আবেদন জানাবো, যেন অচিরেই এই ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়। কারণ এরকম আতঙ্কের মধ্য দিয়ে আমাদের প্রায়ই যেতে হচ্ছে।” ঘটনাটি চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে কিনা জানতে চাইলে গাজীপুর থানার ওসি সমীর বলেন, ” আমাদের কাছে এখনও লিখিত কোন অভিযোগ আসেনি। তবে ঘটনাটি শুনেছি এবং খোঁজখবর নেওয়া শুরু করেছি। অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা বিস্তারিত জানাতে পারবো”। এদিকে কিছুদিন আগে বাবা-মা ও স্ত্রীর সামনে রাসেল নামের এক ডিশ ব্যাবসায়ীকে প্রকাশ্য দিবালোকে হত্যা করা হয়। আহত নাহিদ বর্তমানে স্হানীয় ডিশ ব্যাবসা নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করছে বলেও জানা যায়। গতকালকের মারামারির ঘটনা এই ব্যাবসাকেন্দ্রিক কারণেই ঘটেছে কিনা এমন প্রশ্নও উঠেছে স্হানীয়দের মনে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে