ডেস্ক রিপোর্ট : প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মেলাতে সবাই ব্যস্ত। মোবাইলে খুদে বার্তা দিয়ে সেরে নেয় ভাবের আদান-প্রদান। নগর জীবনের ব্যস্ততায় হারিয়ে যেতে বসেছে চিঠি। লাল রঙের ডাকবাক্স অবহেলায় পড়ে থাকে; আসে না চিঠি।   কেউ পারতপক্ষে আর চিঠি লেখে না। আর এই আধুনিকতার সঙ্গে তাল মেলাতে না পেরে হারিয়ে যাচ্ছে ডাক বিভাগের পোস্টাল সার্ভিস বা ডাকসেবা।

ডাক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে সারা দেশে ৮ হাজারের বেশি ডাকবাক্স রয়েছে। এর মধ্যে অযত্ন, অবহেলা আর অব্যবহৃত হয়ে প্রায় অকার্যকর হয়ে গেছে শতাধিক। দিনের পর দিন খোলা হয়নি এমন বাক্সের সংখ্যাও কম নয়। ডাকসংশ্লিষ্টরা বলছেন, বেসরকারি কোম্পানিগুলো চিঠি আদান-প্রদানে আধুনিক পদ্ধতি নিয়ে এলেও ডাক বিভাগ এখনো পড়ে আছে আগের যুগে। আর এ কারণেই যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে মানুষ আধুনিক কুরিয়ার সার্ভিসকে বেছে নিচ্ছে। প্রত্যাশিত সেবা না পেয়ে সরকারি এই ডাকসেবা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে সবাই।

ডাকের পোস্টাল সার্ভিস বিভাগের এক হিসাবে দেখা গেছে, মুঠোফোনসহ নিত্যনতুন যোগাযোগ মাধ্যমের আধিপত্যে প্রতি বছর অন্তত ১ কোটি হারে কমে যাচ্ছে ডাকের সাধারণ চিঠিপত্র লেনদেনের সংখ্যা। সাধারণ চিঠি আদান-প্রদান ছাড়াও উল্লেখযোগ্যহারে কমছে রেজিস্টার্ড চিঠি ও পার্সেলের সংখ্যা। আধুনিক যোগাযোগের সঙ্গে তাল মেলাতে বিদেশে চিঠি ও পার্সেল সার্ভিস চালু আছে বটে, তবে তা নামকাওয়াস্তে। কতসংখ্যক বিদেশি পার্সেল আদান-প্রদান হয়েছে— খোঁজ নিতে গেলে এর তথ্য দিতে পারেনি সংশ্লিষ্ট দফতর।

ব/দ/প

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে