নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে আউশ ধান কাটা-মাড়াই শুরু হয়েছে। ধানের ফলন ও দাম ভালো হওয়ায় ফুরফুরে মেজাজে রয়েছেন কৃষক ও শ্রমিকরা।ফলন ভালো হওয়াতে কৃষি শ্রমিকরাও এবার কাজ পাচ্ছেন বেশি।

উপজেলার বাহাগিলি ইউনিয়নের উত্তর দুরাকুটি, নিতাই ইউনিয়নের পানিয়াল পুকুর, পুটিমারী ইউনিয়নের উত্তর ভেড়ভেড়ী, কিশোরগঞ্জ সদর ইউনিয়নের মুশা পাকার মাথা, ছকির হাটসহ বেশ কয়েকটি গ্রামে আউশ ধান কাটা শুরু হয়েছে। কৃষি শ্রমিকরা ধান কাটা-মাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। সরেজমিনে বেশ কিছু এলাকায় গিয়ে কৃষক-শ্রমিকদের ব্যস্ততা লক্ষ করা যায়।

পুষনা গ্রামের কৃষি শ্রমিক তোফায়েল আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, আমরা দলবেঁধে শ্রমিকরা ধান কেটে নিয়ে কৃষকের আঙিনায় মাড়াই করে দিচ্ছি। এ ধান ওঠার পর পরই আগাম জাতের আলু চাষে মাঠে নেমে পড়বো। এখন এসব কাজে আমাদের পরিবার ভালোই চলছে।

বাহাগিলি ইউনিয়নের কৃষক ছমির উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, এ সময়টায় আউশ ধানের কারণে আমাদের অভাব অনেকটা দূর হয়েছে। এছাড়া গো খাদ্যের জন্য কাড়ির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ৮০টি কাড়ি ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

কিশোরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিবছর উপজেলায় আউশ ও আলু আবাদের জমির পরিমাণ বাড়ছে। আগাম জাতের ধান ও আলু আবাদ করে লাভবান এখানকার কৃষকরা। এজন্য কৃষি বিভাগ মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে।

তিনি আরও জানান, ধান কাটার পর একই জমিতে আগাম জাতের আলু আবাদের প্রস্তুতি নিচ্ছেন কৃষকরা। ফলে কৃষকের দম ফেলার সুযোগ নেই।

কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এ বছর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় ৭৫০ একর জমিতে আউশের আবাদ হয়েছে। এরমধ্যে হাইব্রিড জাতের ধান ২৮৫ একরে এবং উচ্চ ফলনশীল জাতের ধান চাষ হয়েছে ৪৬৫ একর জমিতে।

ban/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে