ডেস্ক রিপোর্ট: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপি নয়, সরকারই বরং আদালত অবমাননা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন। আদালতের আদেশ থাকা সত্ত্বেও খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য প্রতিবেদন সুপ্রিমকোর্টে নির্ধারিত দিনে উপস্থাপন না করে সরকার এবং অ্যাটর্নি জেনারেল আদালত অবমাননা করেছেন।

শুক্রবার সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘৯০-এর ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্রঐক্যে আয়োজিত এক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

বৃহস্পতিবার জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার আপিল শুনানিতে আদালতে বিএনপি ও আওয়ামীপন্থী আইনজীবীদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়। আদালতে চরম হইচই হয়। এ কারণে বিচারপতিরা এজলাস ছেড়ে চলে যান। এ ঘটনাকে আওয়ামী লীগ নেতারা আদালত অবমাননা বলে মন্তব্য করছেন। এই অভিযোগ খণ্ডন করে আজ বিএনপি মহাসচিব বলেন, উল্টো সরকারই আদালত অবমাননা করেছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, চিকিৎসকরা বলছেন– খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ। তার স্বাস্থ্যের যে অবস্থা তাতে তার প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে। এমতাবস্থায় দেশনেত্রীর কিছু হলে এর দায় সরকার ও সরকারপ্রধানকে নিতে হবে।

তিনি বলেন, সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে বিএনপি চেয়ারপারসনকে সাজা দিয়েছে। তাকে এখন জোর করে আটকে রেখেছে। দেশবাসী এটি কিছুতেই মেনে নেবে না। ১২ ডিসেম্বর খালেদা জিয়ার জামিন না হলে বৃহত্তর গণআন্দোলন তৈরি করে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা হবে।

আওয়ামী লীগ কখনই দেশে গণতন্ত্র চায়নি মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, তারা গণতন্ত্রকে শেষ করে দিতে গণতন্ত্রের নেত্রীকে আজ আটকে রেখেছে। ৩০ ডিসেম্বরের আগের রাতে ভোট ডাকাতি করেছে। মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে তারা দেশে একদলীয় বাকশাল আবারও পুনপ্রতিষ্ঠা করতে চায়। এ জন্য তারা দেশের সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় দেশের সর্বোচ্চ আদালতে হস্তক্ষেপ করছে। জনগণ এসব মেনে নেবে না।

P/B/A/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে