ডেস্ক রিপোর্টঃ বাংলাদেশের অন্যতম সফল অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা বলেছেন, আমার চোখে অভিষেকই বিশ্বকাপের অঘোষিত নায়ক। বিশ্বাস করুন, আমি এটা মন থেকেই বলছি।

গত রোববার দক্ষিণ আফ্রিকার পচেফস্ট্রুমে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে ৩ উইকেটের জয় ইতিহাস গড়ে বাংলাদেশ যুব দল।

ফাইনালে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামা চারবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারতকে ৪৭.২ ওভারে ১৭৭ রানে অলআউট করে দেন অভিষেক দাস, শরিফুল ইসলাম ও তানজিম হাসান সাকিবরা। ৯ ওভারে ৪০ রান খরচ করে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট শিকার করেন নড়াইলের ছেলে অভিষেক দাস।

১৭৮ রানের সহজ টার্গেট তাড়া করতে নেমে উদ্বোধনীতে ৫০ রান করা বাংলাদেশ এরপর ৫২ রানের ব্যবধানে ৬ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে যায়। কঠিন চাপের মুহুর্তে ঠাণ্ডা মাথায় দায়িত্বশীল ব্যাটিং করে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিয়ে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক আকবর আলী।

আকবর ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতলেও আসল কাজটা করেছেন অভিষেক দাস। তার বোলিং তোপের মুখে পড়েই দলীয় ৯ রানে ওপেনিং জুটি ভাঙে ভারতের। বাংলাদেশকে ব্রেক থ্রু এনে দেয়া অভিষেকের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন ভারতীয় ওপেনার ধীাবংশ সাকসেনা, অথর্ব অঙ্কোলেকার ও কার্তিক গ্যাগী। অভিষেকের আগুনঝড়া বোলিংয়ে টার্গেট সাধ্যের মধ্যে রাখতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ।

অভিষেকের প্রশংসা করে জাতীয় দলের ওয়ানডে অধিনায়ক ও নড়াইল-২ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মুর্তজা বলেন, বিশ্বকাপ জয় করে অভিষেক দেশে ফিরেছে। বাংলাদেশের মানুষকে গর্ববোধ করাতে, নড়াইলের মানুষকে গর্ববোধ করাতে। আমার চোখে তুমি বিশ্বকাপের অঘোষিত নায়ক। বিশ্বাস করো, আমি এটা মন থেকেই বলছি।

বিশ্বকাপ জয় করে দেশে ফেরা ক্রিকেটারদের নিয়ে অভিনন্দন জানিয়ে ফেসবুক পেজে মাশরাফি আরও লেখেন, এই আকবর, তামিম, ইমন, রকিবুল, শরিফুল, অভিষেকদের তৈরি করতে তাদের পরিবারকে অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে। তারাও অনেক পরিশ্রম করেছে।

J/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে