ডেস্ক রিপোর্ট :  তেলাপিয়া মাছ মোটামুটি সারা বিশ্বেই জনপ্রিয়। তবে এবার এর আরো একটি ব্যবহার উদ্ভাবন করেছেন ব্রাজিলের গবেষকরা। এ মাছের ত্বক দিয়ে সারানো হচ্ছে আগুনে পোড়া রোগীদের ক্ষত। গবেষকদের মতে, নতুন এ চিকিৎসা পদ্ধতি রোগীর যন্ত্রণা কমানোর পাশাপাশি কমাবে চিকিৎসা ব্যয়ও।

অনেক আগে থেকেই পুড়ে যাওয়া রোগীদের চিকিৎসায় হিমায়িত শুকরের চামড়া ও মানবদেহের টিস্যু ব্যবহার হয়ে আসছে। এসব উপকরণ পুড়ে যাওয়া ত্বককে আর্দ্র রাখে এবং কোলাজেন নামের প্রোটিন সরবরাহ করে থাকে। যা দ্রুত ক্ষত সারাতে সাহায্য করে।

ব্রাজিলের সরকারি হাসপাতালগুলোতে এসব উপকরণের সরবরাহ কম। অন্যদিকে প্রচলিত ব্যান্ডেজের ব্যবহারে দগ্ধ রোগীর কষ্ট আরো বাড়ে। এটি বারবার ড্রেসিং করতেও নানা ঝামেলা পোহাতে হয়। এ বিষয়টি মাথায় রেখে বিকল্প খুঁজছিলেন গবেষকরা।

আর বিকল্প হিসেবে বেছে নিয়েছেন তেলাপিয়া মাছকে। ব্রাজিলের নদী ও মাছের ঘেরগুলোতে প্রচুর তেলাপিয়া মাছ পাওয়া যায়। উত্তর ব্রাজিলের ফেডারেল ইউনিভার্সিটি অব সিয়েরার বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে দেখেছেন- তেলাপিয়ার ত্বকের আর্দ্রতা, কোলাজেন এবং রোগ সারানোর ক্ষমতা মানুষের ত্বকের মতই। এটা ক্ষত সারানোর জন্য ব্যবহার করা সম্ভব। গবেষকরা জানান, তেলাপিয়ার ত্বক ব্যবহার করে দগ্ধ রোগীদের ক্ষত সারাতে আগের চেয়ে আরো কম সময় লাগে। ব্যথানাশক ওষুধ ব্যবহারের প্রয়োজন হয় না। তাদের মতে, সালফাডায়ানাইজড ক্রিম ব্যবহার করে চিকিৎসার তুলনায় এ পদ্ধতিতে ব্যয় ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত কম হবে।

পরীক্ষামূলকভাবে ৫৬ জন দগ্ধ রোগীর ওপর এ চিকিৎসা পদ্ধতির কার্যকারিতা যাচাই করা হয়েছে। ফলাফল পাওয়া গেছে ইতিবাচক। এখন গবেষকরা ব্যাপক হারে এ পদ্ধতি প্রচলনের আশা করছেন। এর ফলে দগ্ধ রোগীদের চিকিৎসা সহজ হওয়ার পাশাপাশি তেলাপিয়া চাষেও গতি আসবে বলে তারা মনে করছেন তারা।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে