ডেস্ক রিপোর্টঃ অবৈধ প্রবাসীদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করেছে মালয়েশিয়া। ১ জুলাই থেকে অভিযান শুরুর কথা থাকলেও আগেভাগেই ধরপাকড় করেছে অনেক শ্রমিককে। অভিবাসন পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা যৌথভাবে দেশটির বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।

প্রবাসী ও দূতাবাসসংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মালয়েশিয়ায় আট লাখের বেশি বাংলাদেশি রয়েছে। তাদের মধ্যে ২০১৬ সালের পর রি-হায়ারিং সুযোগ নিয়ে নিবন্ধন করেছে চার লাখের বেশি শ্রমিক। এ প্রকল্পের সুযোগ নেয়নি দেড় লাখের বেশি শ্রমিক। তারা এখন গ্রেপ্তারের ভয়ে আছে। অনেককে দেশে ফিরতে হতে পারে। আনুষ্ঠানিক অভিযান শুরুর আগেই মালয়েশিয়া পুলিশ আটক করেছে আট শতাধিক বাংলাদেশিসহ প্রায় তিন হাজার শ্রমিককে। তারা বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারায় নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘মালয়েশিয়ায় কোনো অবৈধ শ্রমিক থাকতে পারবে না। ৩০ জুনের মধ্যে যারা বৈধকরণ সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়েছে তারা জরিমানা দিয়ে ৩০ আগস্টের মধ্যে দেশে ফিরতে পারবে।

অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক দাতুক সেরি মুস্তফার আলী গণমাধ্যমে জানিয়েছেন, দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা অবৈধদের ধরতে অভিযান শুরু হয়েছে। বৈধকরণ প্রকল্পে যারা নিবন্ধন করতে ব্যর্থ হয়েছে তাদের আটক করা হবে। দেশের নিরাপত্তা রক্ষার তাগিদে কোনো পক্ষের সঙ্গে আপসে যাবে না প্রশাসন।

মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বারনামায় ইমিগ্রেশনের বরাত দিয়ে বলা হয়, ২০১৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১৮ সালের ২৯ জুন পর্যন্ত সাত লাখ ৪৮ হাজার ৮৯২ কর্মী ও ৮৩ হাজার ৯১৯ জন নিয়োগদাতা বৈধকরণ প্রকল্পে নিবন্ধিত হয়েছে। নিবন্ধিতদের মধ্যে এক লাখ ২০ হাজার ৩৩২ জন অবৈধ কর্মীকে বৈধতার অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে।

K/K/N.

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে