এক দিকে করোনা মহামারী, অন্যদিকে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে তছনছ উপকূলবাসী।এখনো শতশত গ্রাম অন্ধকারে, পানির জলোচ্ছ্বাসে লড়াই করছে নতুন করে বাঁচার জন্য যুদ্ধ করছে।রাত পোহালেই খুশির ঈদ কিন্তু বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের কোটি কোটি মুসলমানদের ঈদ আনন্দ কেড়ে নিয়েছে মহামারী করোনা। ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত ঈদ আনন্দ পাশের দুখী মানুষকে খুশি করতে পারলেই প্রকৃত ঈদ উৎসব পালন করা হবে।

করোনা শুরুতেই আমার প্রাণপ্রিয় মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতির  পক্ষ থেকে বিভিন্ন জেলা, উপজেলা ও গ্রামের বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষসহ মধ্যবিত্ত পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে।তারা সকলেই নিজস্ব অথার্য়নে এই মহৎ কাজগুলো সম্পন্ন করেছে।যাদের নাম উল্লেখ না করলেই নিজের বিবেকের কাছে দায়বদ্ধ থাকব, সে কারণেই তাদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই নামগুলো উল্লেখ করছি।প্রথমেই কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি সংগঠনের উপদেষ্টা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডক্টর সাদিয়া আহমেদ, যুক্তরাষ্ট্রের প্রবাসী সংগঠনের সমন্বয়কারী মোশাররফ হোসেন চৌধুরী, সংগঠনের নবনির্বাচিত মহাসচিব  এডভোকেট সাইফুল ইসলাম সেকুল,   নবনির্বাচিত সাংগাঠনিক সম্পাদক লায়ন আল আমিন,আরও বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি বগুড়া জেলার সভাপতি জিতু জাহিদ ইকবাল, সাধারণ সম্পাদক আরমান হোসেন ডলার সহ বগুড়া জেলা,উপজেলা ও ইউনিয়ন কমিটি,কুষ্টিয়া জেলা কমিটির সভাপতি জান্নাতুল ফেরদৌস জিনিয়া,সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার ইমন রুবেল সহ কুষ্টিয়া জেলা,উপজেলা কমিটির সকল নেতৃবৃন্দ,চাঁদপুর জেলা কমিটির সভাপতি  এডভোকেট জাহাঙ্গীর ফরাজি, সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন মিলন (এল এল বি) সহ চাঁদপুর জেলা,উপজেলা ও ইউনিয়ন কমিটির নেতৃবৃন্দ,কেন্দ্রীয় এাণ উপকমিটির সদস্য গোলাম ফারুক মজনু, কুমিল্লা জেলা উত্তর  আহবায়ক পারভেজ হোসেন বাবু সহ উপজেলা ও ইউনিয়ন কমিটির নেতৃবৃন্দ,খুলনা জেলার সাধারণ সম্পাদক শেখ কুদরত আলীসহ উপজেলা,ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ,বরগুনা জেলার সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ কামরুজ্জামান রাজ্জাক,সাংগাঠনিক সম্পাদক আবু হানিফ নয়ন সহ জেলা,উপজেলা ও ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ, সহ যারা ব্যক্তিগত উদ্যোগে সংগঠনের পক্ষ থেকে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন তাদের সকলের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

সংগঠনের বাইরে যাদের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞ বাংলাদেশ বন্ধুসমাজের সভাপতি এফ আহমেদ খান রাজীব যিনি আমার অনুরোধে কয়েক দফা বিভিন্ন স্থানে আর্থিক অনুদান দিয়েছেন,যা বর্তমানে চলমান রয়েছে।এই কঠিন পরিস্থিতিতে আমার যাবে কেমন ঈদ?পরিবারের চার সদস্য একসাথে বসে সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবার কেউ নতুন জামা কাপড় ক্রয় করব না।যেহেতু এই করোনার কারণে বাড়িতে কোনো অতিথি আসবে না,তাই খাবার তালিকায় নেই বাড়তি কোনো আয়োজন। সাধারণত শুক্রবার ছুটির দিনে আমরা যেটুকু বাড়িতে আয়োজন করি, ঈদের দিন ও তার বেশি আয়োজন থাকবে না।গোটা রমযান মাস জুড়ে খুব সাধারণ ইফতার ও সেহেরির মধ্য দিয়ে শেষ করেছি।ইনশাআল্লাহ অন্য বারের ঈদের চেয়েও এবারের ঈদে নুতন জামা কাপড়  অনেক খাবার দাবার না থাকলেও, বেশ কিছু মানুষের ভালোবাসা থাকবে।আমাদের আনন্দের সাথে, তাদের আনন্দ মিলে একাকার হয়ে আছে।

মানুষের ভালোবাসায় ঈদের আনন্দই প্রকৃত আনন্দ।আসুন আপনার পাশে যে অসহায় মানুষটি আছে, খুব গোপনে তার পাশে দাঁড়ান।তার হাসির মধ্যেই খুঁজে পাবেন প্রকৃত ঈদ।করোনা থাকবে না,এই দুঃসময়ে কে কার পাশের কতটুকু দাঁড়াল, কীভাবে দাঁড়াল এটাই হয়ে থাকবে ইতিহাস। হয়তো সবাই চিৎকার করে প্রকাশ করবে না, কিন্তু আনন্দে মনে স্মরণ করবে আপনাকে।এপারে কিছু না পেলেও,ওপারে নিশ্চয় বঞ্চিত করবে না মহান আল্লাহ। জয় হোক মানবতার, জয় হোক মানুষের। ঘরে থাকুন,সুস্থ থাকুন।অন্যকে সুস্থ রাখুন।আল্লাহ সবার সহায় হোক।

লেখকঃ মো মঞ্জুর হোসেন ঈসা,
              চেয়ারম্যান,
বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতি

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে