জয়নাল আবেদীন হিরো, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর সৈয়দপুরে এক যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধার লাল মুক্তিবার্তার নম্বর ক্লোন করে মোঃ সাহাবুদ্দিন নামে এক অমুক্তিযাদ্ধার বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধার ভাতা গ্রহণ করার অভিযাগ উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধার বিধবা স্ত্রী নাজনীন বেগম শহরের মিস্ত্রীপাড়ার নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে ওই অভিযাগ করেন।
অভিযাগ বলা হয়, তার স্বামী মোঃ শামসুল হুদা স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় সৈয়দপুরে রেলওয়ে পুলিশে কর্মরত ছিলেন যার কনস্টেবল নম্বর ১৪৮। সে সময় প্রতিরাধ যুদ্ধ শুরু হলে তৎকালীন ইপিআর বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ অংশ নেন তিনি। এরপর ভারতের দেওয়ানগঞ্জ মুক্তিযাদ্ধা ক্যাম্প প্রশিক্ষণ নিয় ৬নং সেক্টরে যুদ্ধ করেন ৷ যুদ্ধের একপর্যায়ে দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ অংশ নিয় পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। দেশ স্বাধীন হলে দীর্ঘদিন শয্যাশায়ী থেকে বিগত ২০২০ সালের ১৬ অক্টোবর মৃত্যুবরণ করেন। রেখে যান স্ত্রী ও এক এতিম কন্যা সন্তান ৷
তার লাল মুক্তি বার্তা নম্বর ৩১৫০৫০১০৩ এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা নম্বর ০১৩৯০০০২৪৩৪। তার (যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা শামসুল হুদার) মৃত্যুর পর নীলফামারী জেলার ডোমার উপজলার খাটুরিয়া গ্রামের মোঃ সাহাবুউদ্দিন নামের এক অমুক্তিযোদ্ধা বিএনপি-জামাত জোট সরকারের আমলে বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসাব নিজের নাম গেজেটভুক্ত করেন । অমুক্তিযাদ্ধা মোঃ শাহাবুউদ্দিন আমার স্বামীর লাল মুক্তিবার্তার নম্বর ক্লোন করে গেজেটে ওই কারসাজি করা হয়। এরপর থেকে অমুক্তিযাদ্ধা মোঃ শাহাবুউদ্দিন মুক্তিযোদ্ধা ভাতা গ্রহণ করে আসছেন। পরেএ ঘটনা প্রকাশ হলে যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযাদ্ধার বিধবা স্ত্রী নাজনীন বেগম প্রতিকার পেতে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযাগ দাখিল করেন। কিন্তু অভিযোগের ১৮ বছর পর এর প্রতিকার পাননি।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী নাজনীন বেগম অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত করে তার বীর মুক্তিযাদ্ধা স্বামীর প্রাপ্য বুঝিয়ে দেয়ার জন্য মানবতার মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন সংবাদ সম্মেলনে ৷
এব্যাপারে শাহাবুউদ্দীনের সাথে কথা বলার চেষ্টা করেও সাক্ষাৎ না হওয়ায় তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি ৷

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে