মোঃ আব্দুল আজিম: গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শিক্ষকদের কলংক নতুন দুলাল ভরট উচ্চ বিদ্যালয়ের অর্থলোভী শিক্ষক আশরাফ আলী ও জাহেদুল ইসলাম।
এই দুই শিক্ষকের কর্মকাণ্ডে শিক্ষা জীবন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। বিদ্যালয়টিতে নিজেদের প্রভাব বিস্তারের জন্য নানা জটিলতা, অভিযোগ ও মামলার সৃষ্টি করে সাময়িক প্রতিষ্ঠান প্রধান হয়ে ব্যাপক অনিয়ম করেন আশরাফ আলী।
তিনি দায়িত্ব পেয়েই, প্রধানের নিকট থেকে প্রতিষ্ঠানের পাসওয়ার্ড নিয়ে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জাহেদুল ইসলাম (কম্পিউটার) উপবৃত্তির কাজ শুরু করেন। প্রতিষ্ঠানটিতে ১১১ জন শিক্ষার্থী উপবৃত্তির ভাতা তালিকায় নাম প্রকাশ পায়।
এর মধ্যে ৩৬ জন শিক্ষার্থী গাইবান্ধা সদর উপজেলার লক্ষীপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী।
এই সকল শিক্ষার্থীর অর্থ আত্মসাৎ বিষয়ে একটি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দায়ের হলে, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে।
গত ০৯/০৮/২৩ ইং তারিখে উপজেলা মাধ্যমিক তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ্য করেন, যোগসাজশে সিনিয়র শিক্ষক হিসেবে দায়িত্বে থাকা কালীন বর্তমান ৭ম শ্রেণি ও অন্যান্য শ্রেণির মোট উপবৃত্তির তালিকায় ১১১ জন শিক্ষার্থী।
এর মধ্যে ৩৬ জন শিক্ষার্থী নতুন দুলাল ভরট উচ্চ বিদ্যালয়ে উপবৃত্তির অর্থ পেলেও এরা ভরট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নয়।
আশরাফ আলী ও সহকারী শিক্ষক জাহেদুল (কম্পিউটার) এর যোগসাজশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীর নাম উপবৃত্তির তালিকায় এনে নিজেদের বিকাশ নাম্বার ব্যবহার করে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।
এই মর্মে একটি তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তা আব্দুল মমিন মন্ডল।
গত ১৪/০৮/২৩ ইং তারিখে নতুন দুলাল ভরট উচ্চ বিদ্যালয়ে দুপুর দুইটার সময় উপস্থিত হয়ে দেখতে পায় বিদ্যালয়টি বন্ধ রাখা হয়েছে।
পরে বিদ্যালয়ের কেরানির সঙ্গে দেখা করে বিদ্যালয় বন্ধের বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি জানান, শিক্ষকরা বিদ্যালয় বন্ধ করে চলে গেলে আমার কি করার আছে।
তিনি আরো জানান, মাঝে মাঝে দুইটা আরাইটায় বিদ্যালয় বন্ধ করে শিক্ষকরা বসায় চলে যায়।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত দুই শিক্ষক আশরাফ আলী ও জাহেদুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিক বার কল করা হলে তাদের পাওয়া যায়নি।