garments

বিডি নীয়ালা নিউজ(২৫ই ফেব্রুয়ারী১৬)-ঢাকা প্রতিনিধিঃ  সংস্কার কার্যক্রমে পিছিয়ে থাকা তৈরি পোশাক  কারখানাগুলোর মালিকদের সঙ্গে বুধবার থেকে আলোচনা শুরু করেছে তৈরি পোশাক প্রস্ততকারক ও রপ্তানিকারকদের সমিতি- বিজিএমইএ। কারখানাগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার সংস্কারে গতি আনতে, সংস্কার এ ব্যাবস্থা নিয়েছে বিজিএমইএ।

তাজরীন গার্মেন্টসের অগ্নিকাণ্ড আর রানা প্লাজা ধ্বসের পর বাংলাদেশের তৈরি পোশাক কারখানাগুলোর পরিবেশ মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পর, এসব কারখানা সংস্কারে উদ্যোগ নেয় বিদেশী ক্রেতাদের জোট অ্যাকর্ড এবং এ্যালায়েন্স, আইএলও এবং বাংলাদেশের সরকার।

বুধবার প্রথম দিনের আলোচনায় এমন কারখানাগুলোর মালিকদের ডাকা হয়েছিল, অ্যাকর্ডের প্রতিবেদন অনুযায়ী যাদের সংস্কারের হার ১০ শতাংশের নীচে। আশিটি প্রতিষ্ঠানকে ডাকা হলেও, তাদের মধ্যে পঞ্চাশটি প্রতিষ্ঠান বিজিএমইএতে এসে জানিয়েছে, তাদের অগ্রগতির হার এই প্রতিবেদনের তুলনায় আরো বেশি।

বিজিএমইএ সহ-সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বলছেন, এসব কারখানা মালিকরা বলছেন, তাদের কারখানার প্রকৃত সংস্কারের হার, অ্যাকর্ডের ওই প্রতিবেদনের তুলনায় অনেক বেশী। এখন দুইটি কারণে এই পার্থক্য ঘটতে পারে। আমরা তাদের সংস্কারের রিপোর্ট জমা দিতে বলেছি। পরে এগুলো নিয়ে আমরা অ্যাকর্ডের সঙ্গে বসবো। এই পার্থক্যের কারণ হিসাবে তিনি বলছেন, হয়তো অ্যাকর্ড যে তালিকাটি তৈরি করেছিল, সেটি একমাস আগের। এর মধ্যেই হয়তো কারখানাগুলো আরো বেশি সংস্কার করেছে, কিন্তু সেটা আপডেট করা হয়নি। হয়তো এর মধ্যে সদস্যরা অনেক অগ্রগতি করেছে। এখন সেই বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হবে।

রানা প্লাজা ধ্বসে এগারোশোর বেশি শ্রমিক নিহত হওয়ার পর, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের শ্রম পরিবেশ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এরপরই ইউরোপীয় এবং আমেরিকান ক্রেতাদের দুইটি জোট এসব কারখানার পরিদর্শন করে সংস্কারের সুপারিশ করে। এ পর্যন্ত এই দুইটি জোট, আইএলও ও বাংলাদেশ সরকার মিলে আড়াই হাজারের বেশি কারখানা পরিদর্শন করেছে।

অ্যাকর্ড বলছে, তাদের দেখা কারখানাগুলোর অন্তত ৫২২টি কারখানায় চল্লিশ শতাংশের নীচে সংস্কার হয়েছে, যা তাদের লক্ষ্যমাত্রার নীচে। ২০১৮ সালের মধ্যে কারখানাগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার সংস্কারে সময়সীমা বেধে দিয়েছে অ্যাকর্ড।

বিজিএমইএ বলছে, কারখানাগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার সংস্কারের বিষয়টিকে তারা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। তাই পিছিয়ে থাকার কারণ চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়ার জন্যই তাদের এই আলোচনা। যদিও সংস্কারে আপত্তি না থাকলেও, সময় এবং প্রক্রিয়া অ্যাকর্ড এবং অ্যালায়েন্সের সঙ্গে মত ভিন্নতা রয়েছে অনেক প্রতিষ্ঠানের। আর্থিক সীমাবদ্ধতাকেও এজন্য দায়ী করেছেন অনেক মালিক।

যদিও অ্যাকর্ডের এই তালিকার মধ্যে এমন কয়েকটি কারখানা রয়েছে, যারা বিজিএমইএ-র সদস্য নয়। তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করা হবে বলে বিজিএমইএ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে