56861dfb0c605f4b089570b5a5fed216-18

বিডি নীয়ালা নিউজ(২৬জানুয়ারি১৬)- গাজীপুর প্রতিনিধিঃ যৌতুকের জন্য নির্যাতিত হয়ে বিয়ের ৬ মাস পড়েই অন্ত:স্বত্বা গৃহবধু নাসরিন স্বামী ঘর হারিয়ে দরিদ্র পিতার ঘরে ঠাই মিলেছে। দ্বিতীয় বিয়ে করে পাশুন্ড স্বামী সংসার করলেও পিতার অধিকার থেকে বঞ্চিত নাসরিনের একমাত্র শিশু কন্যা সিমি। পিতৃত্বের অধিকার আদায় করতে ধারে ধারে ঘুরছে নির্যাতিত গৃহবধু। নিরুপায় হয়ে আদালতে মামলা করেও নির্যাতনের শিকার হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বাউনী গ্রামের হতদরিদ্র রিক্সা চালক নজরুল ইসলামের কন্যা নাসরিনের সাথে একই গ্রামের সোহরাবের বিয়ে হয় প্রায় সাড়ে তিন বছর পূবে। বিয়ের পর থেকেই সোহরাব যৌতুকের জন্য নির্যাতন করতে থাকে। অন্তস্বত্বা নাছরিনকে তাড়িয়ে দেয় তার স্বামী। এরই একমাস পর দ্বিতীয় স্ত্রী হিসাবে বিয়ে করে শরিফাকে। ইতিমধ্যেই নাছরিন এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেয়। দরিদ্র পিতার পক্ষে মা মেয়ের ভরন পোষন করা সম্ভব হয় না। নাছরিন তার সন্তানের ভরনপোষনের দাবীতে ধারে ধারে ঘুরেও প্রতিকার পায়নি। নিরুপায় হয়ে গাজীপুর আদালতে সোহরাব ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী শরিফার বিরুদ্ধে এবং সন্তানের ভরনপোষনের দাবীতে পৃথক মামলা করেন। এতে গোপনে সোহরাব বিদেশে চলে যায়। এদিকে সোহরাবের দ্বিতীয় স্ত্রী শরিফা ও তার লোকজন নাছরিনকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য ভয়ভীতি হুমকি প্রদান করিতে থাকে।
মামলা তুলে না নেওয়ায় ২২ জানুয়ারী সন্ধ্যা ৭টার দিকে শরিফা তার ভাড়াটিয়া লোকদের নিয়ে নাছরিনের মেয়েকে ছিনাইয়া নিতে চায়। এসময় নাছরিনের পিতার বাড়ীর লোকজন বাধা দিলে হামলাকারীরা এলোপাথারী পিটিয়ে নাছরিন, মাসুদা ও তাছলিমা আহত করে। এসময় স্থানীয় জনতা হামলাকারী কাজলকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করে। এ ঘটনায় নাছরিনের পিতা বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় ১১ ব্যক্তির নামে মামলা দায়ের করে। নজরুল ইসলাম জানান, যৌতুকের দাবীতে নির্যাতিত তার মেয়ে আদালতে মামলা করায় চরম বিপাকে পড়েছে। মামলা প্রত্যাহার করতে সোহরাবের দ্বিতীয় স্ত্রী ও তার লোকজনের হুমকি মুখে নাছরিনের পরিবার এখন দিন কাটছে চরম উৎকন্ঠায়।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে