Rog-300x225

বিডি নীয়ালা নিউজ(১৮জানুয়ারি১৬)- স্বাস্থ ও চিকিৎসা প্রতিবেদনঃ  বিডি নীয়ালা নিউজ(১৮জানুয়ারি১৬)- অনলাইন প্রতিবেদনঃ শীতে ঠান্ডার কারণে অনেকেই নিয়মিত গোসল করেন না। ত্বক পরিচ্ছন্ন রাখেন না। শীতের একই পোশাক বেশির ভাগ সময় পরে থাকেন। কাপড়-চোপড় নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না। এসব কারণে শীতে খোস পাঁচড়া বা স্ক্যাবিস বেশি দেখা যায়।

স্ক্যাবিস একটি ছোঁয়াচে রোগ। সারকপটিস স্ক্যাবি নামক ক্ষুদ্র মাইটের সংক্রমণে এটি হয়ে থাকে। এ পরজীবীটি উষ্ণ পরিবেশে থাকতে পছন্দ করে। স্ত্রী মাইটগুলো ছয় সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন দুই থেকে তিনটি করে ডিম পাড়ে। পরে ডিমগুলো থেকে বাচ্চা মাইটের জন্ম হয়।

যেহেতু রোগটি ছোঁয়াচে, সেহেতু খুব সহজেই পরিবারের অন্য সদস্যরা আক্রান্ত হয়। সাধারণত একই বিছানায় শোয়া বা ঘনিষ্ঠ মেলামেশা থাকলে, একই কাপড়-চোপড় ব্যবহার করলে রোগটি ছড়িয়ে পড়ে। এমনকি একসঙ্গে খেলাধুলা করলে, আক্রান্ত ব্যক্তির পরিচর্যাকারীদেরও হতে পারে স্ক্যাবিস।

স্ক্যাবিস চেনার জন্য চিকিৎসকের দরকার নেই। আপনি নিজেই পারবেন স্ক্যাবিস নির্ণয় করতে। রাতের বেলা অস্বাভাবিক চুলকানিই স্ক্যাবিসের প্রধান লক্ষণ। রাতের বেলা বিছানার গরমের জন্য মাইটগুলো চামড়ার নিচে চলাচল করতে শুরু করে। এতে রাতের বেলা বেশি চুলকানি অনুভূত হয়। চুলকানোর ফলে নখের আঁচড়ে চামড়া উঠে যায়। এ জন্য শরীরে আঁচড়ের দাগও পাওয়া যায়।

আক্রান্ত স্থানে ত্বকের ওপর কালো সুতার মতো ছোট ছোট রেখা দেখতে পাওয়া যায়, এটাকে বারো বলে। এ রেখার শেষভাগে ছোট দানা অথবা পানিযুক্ত ছোট দানা থাকে। এ দানাগুলোই মাইটদের আবাসস্থল। এখানেই এরা ডিম পাড়ে। মহিলাদের ক্ষেত্রে সাধারণত স্তনের বোঁটার চারপাশে ও পুরুষের ক্ষেত্রে অণ্ডকোষ ও যৌনাঙ্গে চুলকানিযুক্ত ছোট দানা দেখা যায়। অনেক সময় স্ক্যাবিসে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঘটে।

খোস পাঁচড়ার জন্য নির্দিষ্ট ওষুধ রয়েছে। এটি নির্দিষ্ট নিয়মে ব্যবহার করলে খোস পাঁচড়া সেরে যায়। ওষুধগুলো হচ্ছে : ২৫ শতাংশ বেনজাইল বেনজয়েট, পারমিথ্রিন, টেটমোসল। ওষুধ ব্যবহারের পাশাপাশি কাপড়-চোপড় সেদ্ধ করে কাচতে হবে এবং বিছানা-তোশক রোদে দিতে হবে। তবে যেকোনো ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে