Musa_01_newsnextbd_01_newsnextbd
বিডি নীয়ালা নিউজ(৫জানুয়ারি১৬)- অনলাইন প্রতিবেদনঃ ড্যাটকো গ্রুপের চেয়ারম্যান আলোচিত ব্যবসায়ী  ড. মুসা বিন শমসেরের (প্রিন্স মুসা) ১২ বিলিয়ন ডলার আটকে থাকা সুইস ব্যাংকের হিসাব নম্বর জানতে তাকে আবারও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রাজধানী সেগুনবাগিচার দুদক কার্যালয় থেকে সোমবার তলবের এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে। দুদকের পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলী তাকে এ নোটিশ করেছেন। নোটিশে ১৩ জানুয়ারি সকাল ১১টায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে তাকে হাজির থাকতে বলা হয়েছে। দুদক সূত্র জানানো হয়, এর আগে মুসা বিন শমসেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করেও তার কাছ থেকে সুইস ব্যাংকের হিসাব নম্বর জানা যায়নি। কমিশনে জমা দেওয়া সম্পদের বিবরণীতেও এ তথ্য নেই। সুইস ব্যাংকে যোগাযোগ করেও মুসার নামে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তাই শিগগিরই সুইস ব্যাংকের হিসাব নম্বরটি জানতে তাকে এবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। দুদক সূত্র জানায়, ২০১৫ সালের ৭ জুন দুদকে সম্পদ বিবরণী জমা দেন মুসা বিন শমসের। সম্পদ বিবরণীতে তিনি সুইস ব্যাংকে তার ১২ বিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশি প্রায় ৯৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা, প্রতি ডলার ৭৮ টাকা হিসেবে) ফ্রিজ অবস্থায় থাকার কথা উল্লেখ করেন। সুইস ব্যাংকে ৯০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের (বাংলাদেশি প্রায় ৭০০ কোটি টাকা) অলঙ্কার জমার তথ্য দিয়েছেন তিনি। এ ছাড়া দেশে তার সম্পদের মধ্যে গুলশান ও বনানীতে দুটি বাড়ি, সাভার ও গাজীপুরে এক হাজার ২০০ বিঘা জমির কথাও সম্পদ বিবরণীতে উল্লেখ রয়েছে। প্রাথমিক অনুসন্ধানে মুসার বিরুদ্ধে স্বনামে/বেনামে বিপুল পরিমাণ জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া গেলে ২০১৫ সালের ১৯ মে তার বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ জারি করে কমিশন। সূত্র আরও জানায়, প্রিন্স মুসার বিরুদ্ধে ২০১১ সালে অবৈধ সম্পদের অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। ওই সময় বিজনেস ম্যাগাজিন ফোর্বস’র প্রতিবেদন বিবেচনায় নিয়ে এ অনুসন্ধান শুরু করা হয়। তবে অজ্ঞাত কারণে দুদকের ওই অনুসন্ধান আলোর মুখ দেখেনি। তিন বছর পর ২০১৪ সালের শেষের দিকে ‘বিজনেস এশিয়া’ ম্যাগাজিনের প্রতিবেদন বিবেচনায় নিয়ে অবারও নতুন করে মুসার সম্পদের অনুসন্ধানে নামে দুদক। ২০১৪ সালের ৩ নভেম্বর দুদকের ওই কর্মকর্তাকে এ অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ওই বছরের ৪ ডিসেম্বর মুসাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোটিশ পাঠায় দুদক। ১৮ ডিসেম্বর হীরার জুতা থেকে শুরু করে আপাদমস্তক মূল্যবান অলঙ্কারে সজ্জিত হয়ে দুদকের জিজ্ঞাসাবাদে হাজির হন প্রিন্স মুসা। সঙ্গে ছিল নারী-পুরুষের ৮০ জনের এক দেহরক্ষী বহর

1 মন্তব্য

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে