samsunnahar
বিডি নীয়ালা নিউজ(২৭জানুয়ারি১৬)- নিজস্ব প্রতিবেদনঃ “ লক্ষ্য ঠিক করে এগোনোর চেষ্টা করলে নারীকে কেউ আটকাতে পারবে না”, বলেছেন এসপি শামসুন্নাহার।
প্রথম নারী হিসেবে পুলিশ সপ্তাহের প্যারেডে নেতৃত্ব দেওয়া বাংলাদেশ পুলিশের এই নারী কর্মকর্তা আরও  বলেন, ছোট/বড় বাধা আসবে, তবে তাতে মনোবল না হারিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে নারীদের প্রতি আহ্বান জানায়।

পুলিশ সপ্তাহ-২০১৬ উপলক্ষে মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে প্যারেডের নেতৃত্ব দেন চাঁদপুরের পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার। পুলিশ সপ্তাহে প্যারেডের ইতিহাসে এই প্রথম একজন নারী নেতৃত্ব দেন, যাতে সহস্রাধিক পুলিশ সদস্য অংশ নেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকালে রাজারবাগ পুলিশ লাইনস মাঠে পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধনের পর ওই প্যারেড পরিদর্শন করেন।

শামসুন্নাহার একটি চৌকস প্যারেড উপহার দিয়েছেন এবং প্রধানমন্ত্রীও প্যারেডের প্রশংসা করেছেন বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল জানিয়েছেন।

প্যারেডে নেতৃত্ব দেওয়ার অনুভূতি জানাতে গিয়ে এসপি শামসুন্নাহার বলেন, “প্রথম একজন নারী হিসেবে প্যারেডের নেতৃত্ব দেওয়া খুব গৌরবের, আনন্দেরও বটে। এক্ষেত্রে অনেক আগে থেকেই নিজেকে প্রস্তুত করছিলাম। সব প্রস্তুতি শেষে আমার স্বপ্ন সত্যি হয়েছে।”

এসময় বাবা শামসুল হক ও মা মোছাম্মৎ আমেনা বেগমও তার পাশে ছিলেন। পেশায় আইনজীবী ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি শামসুল ও গৃহিণী আমেনা দম্পতির চার সন্তানের মধ্যে শামসুন্নাহার সবার বড়।

বড় মেয়ে পুলিশ কর্মকর্তা হবে, পুলিশ প্যারেডে প্রথম নারী হিসেবে নেতৃত্ব দেবে- এমনটা কখনও ভাবেননি বাবা। তবে মা আমেনা জানালেন ভিন্ন কথা, মেয়ের জন্য ভাবনা আর স্বপ্নটা কিছুটা অন্যরকমই ছিল তার।

“আমি ওর ছোটবেলা থেকেই ভাবতাম- আমার মেয়েটা যেন জীবনে ভাল কিছু করতে পারে। এমন কিছুর প্রত্যাশা সব সময় করতাম যেখান থেকে ও (শামসুন্নাহার) মানুষের উপকার করতে পারবে। পাশাপাশি সে সম্মান পাবে, পাবে স্বীকৃতি।

“এজন্য যখনই জানলাম আমার মেয়েটা প্যারেডে প্রথম নেতৃত্ব দেবে, তখন ভীষণ গর্ব অনুভব করেছিলাম,” বলতেই তার চোখে আনন্দাশ্রু দেখা যায়।

নারীদের প্রতি সাহস নিয়ে নিষ্ঠার সঙ্গে সামনে এগিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা শামসুন্নাহার বলেন, “নারীরা তাদের লক্ষ্য ঠিক করে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তারা এগিয়ে যাবে। জীবনে ছোট/বড় বাঁধা-বিপত্তি আসতে পারে, কিন্তু সেজন্য কখনোই মনোবল হারালে চলবে না।”

কথা বলার সময় শামসুন্নাহারের সঙ্গে ছবি তুলতে এগিয়ে আসছিলেন তার অনেক সহকর্মী; তাকে জানানো হচ্ছিল শুভেচ্ছা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের বৈঠক শুরুর প্রস্তুতিও চলছিল। তাই হাসিমুখে বিদায় নেন পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার।

পরে আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা শেষে নিজের বক্তব্যে এসপি শামসুন্নাহারের প্রশংসা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

“চাঁদপুরের পুলিশ সুপার একটি চৌকস প্যারেড উপহার দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীও প্যারেডের প্রশংসা করেছেন।”

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে