20160130_122536 (1)

বিডি নীয়ালা নিউজ(৩০জানুয়ারি১৬)- আসাদুজ্জামান সুজন (নীলফামারী প্রতিনিধি): নীলফামারী সদরকে চলতি বছরের ১৮ মার্চ বাল্য বিয়ে, যৌতুক ও মাদক মুক্ত’ ঘোষণার লক্ষ্যে উন্মুক্ত সংলাপ শনিবার শহরের শহীদ মিনার চত্ত্বরে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সদর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সংলাপে সরকারী কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক, ব্যবসায়ী, ইমাম, সাংবাদিক, নিকাহ রেজিস্ট্রার, আইনজীবী, শিক্ষক, এনজিও, নারী, এনজিও, গ্রাম পুলিশ, ক্রীড়া প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার হাজারো মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

সকাল ১১টা থেকে ৩ ঘন্টা ব্যাপী জেলা সদরের শহীদ মিনার চত্বরে সংলাপ অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়। সাংবাদিক তাহমিন হক ববির সঞ্চালনায় প্রায় ৫ হাজার নারী পুরুষের উপস্থিতিতে এবং বিভিন্ন প্রশ্ন উত্তরের মাধ্যমে সকল সেক্টরের নেতৃবৃন্দ শুধু আইন প্রয়োগ করে নয়, সচেতনতার মাধ্যমে জেলা সদরের ১৫টি ইউনিয়ন ও পৌরসভাকে বাল্যবিবাহ,যৌতুক ও মাদকমুক্ত এলাকা হিসাবে ঘোষনার পরিকল্পনাকে স্বাগত জানিয়েছেন। পাশাপাশি এসব প্রতিরোধে প্রতিবন্ধকতা গুলোকে চিহিৃত করেন এবং সমাধানে সকলে একমত পোষন করেন।

সংলাপের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবেত আলী। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন ল্যাম্ব প্রকল্পের প্রোগ্রাম অফিসার বোরহান মৃধা, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের রংপুর বিভাগের প্রধান প্রতিনিধি নজরুল ইসলাম।

বাল্য বিয়ে, যৌতুক ও মাদক মুক্ত’ উপজেলা গড়ার মূল উদ্যোক্তা সদর উপজেলা নির্বাহী মো. সাবেত আলী জানান, চলতি বছরের মার্চ মাসের মধ্যে সদর উপজেলাকে বাল্য বিয়ে মুক্ত হিসেবে ঘোষণা করা হবে। এজন্য উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের সব স্তরের মানুষদের নিয়ে সভা সমাবেশ, বৈঠক, মতবিনিময় সভা ছাড়াও প্রচার প্রচারণা চালানো হয়েছে।
তিনি জানান, গেল বছরের ফেব্রুয়ারীতে সদরের পলাশবাড়ি ও লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়নকে বাল্য বিবাহ মুক্ত হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ওই ঘোষণা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।

উন্মুক্ত সংলাপের মঞ্চে অংশ নেন, জেলা প্রশাসক জাকীর হোসেন, জেলা পরিষদের প্রশাসক মমতাজুল হক,ভারপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু মারুফ হোসেন, সিভিল সার্জন আব্দুর রশিদ, চেম্বার অব কমার্স সভাপতি সফিকুল আলম ডাবলু, বার সমিতির সভাপতি এ্যাডঃ আলিমুদ্দিন বসুনিয়া, সাধারণ সম্পাদক আবু সোয়েম, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুজার রহমান, সনাক সভাপতি অধ্যাপক নরেশ চন্দ্র রায়পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মসফিকুর ইসলাম রিন্টু,নারী ফোরাম সভাপতি আরিফা সুলতানা লাভলী, আরডিআরএসের সমন্বয়কারী আমিনুর রহমান, ইউএসএসের নির্বাহী পরিচালক আলাউদ্দিন আলী, বিএমএ সভাপতি মমতাজুল ইসলাম মিন্টু, স্বাচিপ সেক্রেটারি মজিবুল হাসান চৌধুরী শাহিন, চেয়ারম্যান সমিতির শাহজাহান চৌধুরী, হাফিজুর রশিদ মঞ্জু, অধ্যক্ষ সুলতান আলী, অধ্যক্ষ সারোয়ার মানিক,জেলা রেজিস্ট্রার আব্দুস সালাম, সিপিবি সভাপতি শ্রীদাম দাস ও নীলফামারী বড় মসজিদের ইমাম খন্দকার আশরাফুল আলম, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নুরন্নাহার শাহাজাদী, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতের বিজ্ঞ পিপি এ্যাডঃ রমেন্দ্র বর্ধন বাপী,মাদক নিয়ন্ত্রন জেলা অফিসের উপ-পরিচালক, স্কুল ও কলেজের শিক্ষক বৃন্দ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ সহ প্রমুখ।

জেলা প্রশাসক জাকীর হোসেন বলেন, প্রতিজন যদি নিজের দায়বদ্ধতা থেকে আমরা সামাজিক ব্যাধিগুলো রোধে কাজ করি তাহলে সমাজ ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা পাবে। শুধু প্রশাসন, পুলিশ আর আইনের উপর নির্ভরশীল না হয়ে সম্মিলিত ভাবে সচেতন হই তাহলেই সম্ভব বাল্য বিয়ে, যৌতুক প্রতিরোধ আর মাদক মুক্ত সমাজ গড়ে তোলা।
তিনি জানান, নীলফামারী সদর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে যে অগ্রযাত্রা শুরু হয়েছে দেশের মধ্যে মডেল হয়ে থাকবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে