আসাদুজ্জামান পাভেল, ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি: নীলফামারীর ডিমলায় ১ হাজার ৩৯ একর জমি প্রতারণার মাধ্যমে দলিল করে নেওয়ায় সাব-রেজিষ্ট্রার ও দলিল লেখকের কিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। সুত্রে জানা যায়, লালমনিরহাট জেলার হাতিবান্ধা উপজেলার সিঙ্গিমারী ইউনিয়নের ধুবনী গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা এ অভিযোগ করে জেলা রেজিষ্ট্রারসহ বিভিন্ন দপ্তরে পত্র প্রেরণ করেছে।

অভিযোগকারীরা জানান, নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের ছাতুনামা গ্রামে আমাদের ৩০/৪০ একর জমি রয়েছে। কিন্তু প্রতারণার মাধ্যমে রংপুর জেলার তারাগঞ্জ উপজেলার কিশামত মেনান নগর গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলী সরকারের পুত্র সফিয়ার রহমান ও পীরগাছা উপজেলার গুয়াবাড়ি গ্রামের শাহ মোঃ মকবুল হোসেন এর পুত্র শাহ মোঃ মেহেদী হাসান, ডিমলা সাব-রেজিষ্টার মনিষা রায় ও দলিল লেখক মতিউর রহমান চেীধুরী এর যোগসাজসে আমাদের কাছে পাওয়ার অব এ্যাটর্নীর কথা বলে চলতি বছরের ২২’জুন ৫টি দলিলে স্বাক্ষর নিয়ে এই বিপুল পরিমাণ জমির দাগ খতিয়ান বসিয়ে ১ হাজার ৩৯ একর ১৬ শতাংশ জমি দলিল করে নেন। প্রতারণার মাধ্যমে দলিলকৃত জমির দলিল নং-৩২৫৯/২৩,৩২৬০/২৩,৩২৬১/২৩,৩২৬২/২৩ ও ৩২৬৩/২৩। অভিযুক্ত সফিয়ার রহমানের মুঠোফোনে যোগযোগ করা হলে তিনি ঢাকায় ব্যস্ত আছেন পরে কথা হবে বলেই ফোন কেটে দেন। অভিযোগকারী আব্দুল মালেকের পুত্র বাহাদুর ও আবু তালেবের পুত্র আবদুল লুতিফ বলেন, আমাদের এত বিপুল পরিমাণ জমি না থাকলেও ঘটনার দিন জলঢাকার সাব-রেজিষ্টার অফিসে সন্ধ্যায় দলিল গুলিতে প্রায় ১৬/১৭ স্বাক্ষর নিয়ে ও অনেকেই উপস্থিত হয় নি তাদের নামে ভুয়া স্বাক্ষর করে এই দলিলগুলি সম্পাদন করেন। দলিল লেখক মতিউর রহমান বলেন,আমি কাগজ পত্র দিয়েই দলিল সম্পন্ন করেছি। এ বিষয়ে কিছু জানার থাকলে সাব-রেজিষ্টার এর সাথে কথা বলেন। এ ব্যাপারে ডিমলা সাব-রেজিষ্টার মনিষা রায় বলেন, আমি জলঢাকায় কোন দলিল স্বাক্ষর করিনি তবে উক্ত দলিলগুলি আমি ডিমলা সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে বসেই সকল কাগজপত্র ঠিক পাওয়ায় দলিলগুলি রেজিষ্ট্রি করেছি। তিনি আরো জনান কোন মৃত ব্যাক্তিকে জীবিত কিংবা জীবিত ব্যাক্তিকে মৃত দেখানো হলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে