বিডি নীয়ালা নিউজ(২৫জানুয়ারি১৬)- প্রযুক্তি ডেস্কঃ বাংলাদেশে ফেসবুক ব্যাবহার করে নারীর প্রতি সহিংসতা কিংবা কোনও সন্ত্রাসী তৎপরতার ব্যাপারে বাংলাদেশে সরকারের যেকোনো অভিযোগে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ ৪৮ ঘন্টার মধ্যে সাড়া দেয়ার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তাতে ফেসবুক ব্যবহারকারীরা শঙ্কা প্রকাশ করছেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমের সাথে সিঙ্গাপুরে সম্প্রতি এক বৈঠকের পর এই আশ্বাস দিয়েছে ফেসবুকের একটি প্রতিনিধিদল।
এর আগে সরকার ফেসবুকের প্রতিনিধিদের সাথে বাংলাদেশেও একবার বসেছিলো।
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে বাংলাদেশে লক্ষ লক্ষ ফেসবুক ব্যবহারকারীর কথাবার্তা সরকারের পক্ষে নিয়ন্ত্রণ করা কতটা সম্ভব হবে?
অনলাইন আ্যাক্টিভিস্ট আসিফ এন্তাজ রবি বলছিলেন স্বল্প উন্নত দেশে কোন সমস্যা সৃষ্টি হলে প্রথমে প্রযুক্তিকে দায়ী করার একটা প্রবণতা দেখা যায়।
“কিন্তু সেটা না করে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুলগুলোতে ছেলে-মেয়েদের শিক্ষার মান উন্নত করতে হবে যাতে করে তারা সভ্য ও রুচিশীল হয়ে বড় হয়। এখন সেটা না করে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের যদি সরকার নিয়ন্ত্রণ করতে যায় তাহলে সেটা একেবারেই সম্ভব হবে না” বলে মনে করেন তিনি।
উন্নত বিশ্বে ফেসবুকের মাধ্যমেই বরং সরকারগুলো এবং নজরদারী সংস্থাগুলো সামাজিক গবেষণা করে থাকে বলে মনে করেন ফেসবুক ব্যবহারকারীরা।
এই সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমটি ব্যবহারকারীরা মনে করেন দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে যেকোন ক্ষমতাসীন ব্যক্তি যদি কারো প্রতি ক্ষোভ থাকে তাহলে তিনি ফেসবুকের বিষয়টি ব্যবহার করতে পারেন।
আসিফ এন্তাজ বলছিলেন সেখানেই তাদের মত ফেসবুক ব্যবহারকারীদের আশংকা রয়েছে।
সূত্রঃ বিবিসি বাংলা





